ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণে আহমদ রফিক
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে রাজপথে লড়েছিলেন আহমদ রফিক। তাঁর হাত ধরেই বাংলা সাহিত্য পেয়েছে নতুন আলো, নতুন দিগন্ত। রবীন্দ্র-গবেষণায় তিনি ছিলেন এক নিবেদিত সাধক। একজন সত্যিকার মানবিক মানুষ, বিনম্র অথচ দৃপ্ত আলোকবর্তিকা। গত ২ অক্টোবর ৯৬ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন এই ভাষাসংগ্রামী। তাঁকে স্মরণে প্রতীকী ফুলেল শ্রদ্ধা, স্মৃতিচারণ ও গভীর অনুভবে মুখরিত হয় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তন।
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক শোকসভা জাতীয় কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্বদেশ এখন মানচিত্রে আঁকা/ সুশ্রী রঙিন পতাকায় লেখা/ তবু খুঁজি ফিরি সবার স্বদেশ / জানি না সে চাওয়া কবে হবে শেষ’ শীর্ষক স্মরণসভা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই মঞ্চে স্থাপিত আহমদ রফিকের প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শোকসভা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ইমেরিটাস প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। পরে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর রবীন্দ্রনাথের গান ‘আছে দুঃখ আছে মৃত্যু’ ও ‘তোমায় নতুন করে পাব বলে হারাই ক্ষণে ক্ষণে’ গান দুটি পরিবেশন করেন অসীম দত্ত। প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আহমদ রফিক ভাষাসংগ্রামী ও সমাজ বিপ্লবী- দুই পরিচয়েই অনন্য। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা শুধু ভাষার অধিকারের জন্য ছিল না; বরং ছিল সমাজ বদলের স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, আহমদ রফিক ছিলেন সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী এক সত্যিকারের মানবমুক্তির সাধক, যিনি নতুন সভ্যতার স্বপ্নে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি শুধু একজন ভাষাসংগ্রামী বা সাহিত্যিক নন-তিনি ছিলেন মুক্ত মানবের মুক্ত সমাজ গড়ার যোদ্ধা। রবীন্দ্রচর্চার মধ্য দিয়েও তিনি সমাজ পরিবর্তনের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করতেন।
আরও পড়ুন:
হরতাল-অবরোধে শীতের পোশাক ব্যবসায় মন্দা
ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মনির সিরাজ বলেন, তাঁর স্মৃতি সংরক্ষণে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা তাঁর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে চলেছে।
স্মরণসভায় আহমদ রফিকের কর্মময় জীবন নিয়ে আরও বক্তৃতা রাখেন রবীন্দ্র সৃজন কলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ শাহেদ, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, বিবর্তন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি এসএম কামাল উদ্দিন, আহমদ রফিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি মুনীর সিরাজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক