জুলাই আন্দোলনে আ. লীগ সরকারের ভুল স্বীকার করলেন জয়
জুলাই আন্দোলনে পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের ভুল ছিল বলে স্বীকার করেছেন ক্ষমতচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে দেওয়া সাক্ষাতকারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, সব মৃত্যুই ‘দুঃখজনক’ এবং প্রতিটি ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত হওয়া উচিত।
তবে গত বছরের সহিংসতায় জড়িত আন্দোলনকারীদের দায়মুক্তি দেওয়ায় ইউনূস সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জয় আরও অভিযোগ করেন, ড. ইউনূসের সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এক ধরনের ‘উইচ-হান্ট’ বা রাজনৈতিক প্রতিশোধমূলক অভিযান শুরু করেছে, যার অংশ হিসেবে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।
জুলাই আন্দোলনে নিহতের সংখ্যা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন নিয়ে কথা বলেন জয়। তিনি জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, আন্দোলনে প্রায় এক হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হতে পারে। যেখানে স্বাস্থ্য উপদেষ্টার তথ্যানুসারে নিহতের সংখ্যা প্রায় ৮০০।
আরও পড়ুন:
‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’
অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন না হলে এই সরকার রাজনৈতিকভাবে অস্থির থাকবে মন্তব্য করে জয় বলেন, নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ হতে আওয়ামী লীগের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন যা হচ্ছে তা আসলে আমার মা এবং রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা। বিচারের আড়ালে আসলে রাজনৈতিক খেলা চলছে।’ দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হলে ইসলামপন্থিরা লাভবান হতে পারে বলে সতর্ক করে জয় অভিযোগ করেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে একটি ‘কারসাজিপূর্ণ নির্বাচন’ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। কোনো দলকে বাদ দেওয়া হলে সেটি হবে এক প্রহসনমূলক নির্বাচন।
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দলীয় সমর্থকদের এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলে রাখা হয়েছে এবং জামিনও দেওয়া হচ্ছে না। তিনি দাবি করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রায় ৫০০ আওয়ামী লীগ কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩১ জন দলীয় কর্মী জেল হেফাজতে মারা গেছেন।