‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতার অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে কাতারের রাজধানী দোহায় যান ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই দোহায় হামাসের শীর্ষ নেতা ও পলিটব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় চার দিনের যুদ্ধবিরতি এবং ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে বন্দী বিনিময় প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। সাক্ষাতে গাজা যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে তার বিস্তারিত গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
পরবর্তী সময়ে কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বিন আব্দুর রহমান বিন জাসিম আলে সানির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সাক্ষাতে গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতি অর্জনে নেপথ্যে থেকে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরানকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন:
রোগীর পেটে জীবন্ত মাছি!
আলে সানি বলেন, ‘আমরা একটি ভালো জায়গায় পৌঁছেছি।’ তিনি বলেন, এরপর আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়িয়ে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হত্যাকাণ্ড পুরোপুরি বন্ধ করার।
এ সময় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল যদি আবার যুদ্ধ শুরু করে তাহলে মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে এবং ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া হবে আরও বিস্তৃত।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ‘ইসরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তা আমেরিকার প্রত্যক্ষ মদদ ছাড়া সম্ভব ছিল না। এ কারণে, গত ছয় সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যে হামলাগুলো হয়েছে তা ছিল গাজায় যে অপরাধযজ্ঞ চলছে তার স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জাতির ভেতর থেকে উঠে আসা স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না। হামাসের শত্রুরা যেন একথা না ভাবে যে, তারা দেড় মাসে যুদ্ধ করে যা অর্জন করতে পারেনি তা রাজনৈতিক উপায়ে অর্জন করতে পারবে।’
আরও পড়ুন:
২৫ জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস