ফ্রাঙ্কফুর্টকে উড়িয়ে লিভারপুলের দুর্দান্ত জয়

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৬
শেয়ার :
ফ্রাঙ্কফুর্টকে উড়িয়ে লিভারপুলের দুর্দান্ত জয়

আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরেই গোল করলেন হুগো একিতিকে, আর তার সেই গোলের পর আত্মবিশ্বাসী পারফরম্যান্সে চার ম্যাচের হারের ধারার ইতি টানল লিভারপুল। জার্মানিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ৫-১ ব্যবধানে জয় পেল ইংলিশ জায়ান্টরা।

ফ্রান্সের এই ফরোয়ার্ড বুন্দেসলিগা ক্লাবটির হয়ে আগে ৬৪ ম্যাচে ২৬ গোল করেছিলেন। গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফারে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার পর পুরনো ক্লাবের বিপক্ষে তিনিই ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন দলকে, যারা টানা অষ্টম ম্যাচে গোল হজম করেছিল।

ব্রিটিশ রেকর্ড সাইনিং আলেকজান্ডার ইসাকের চেয়ে অনেক বেশি প্রাণবন্ত ছিলেন একিতিকে। কোচ আর্না স্লট ভাগ্য বদলের চেষ্টায় প্রথমবারের মতো এই দুই স্ট্রাইকারকে একসাথে মাঠে নামান। ৩০ কোটি পাউন্ডের নতুন প্রতিভা—একিতিকে, উইর্টজ ও ইসাককে—দলে রেখে বেঞ্চে বসানো হয় মোহাম্মদ সালাহকে, যেভাবে আগের অ্যাওয়ে ম্যাচে গালাতাসারায়ের বিপক্ষেও করা হয়েছিল।

তবে প্রথমার্ধে সেট-পিস থেকেই গোল এনে দেন দুই সেন্টার-ব্যাক ভার্জিল ফন ডাইক ও ইব্রাহিমা কোনাতে, কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন দুজনই। এর ফলে ধীরে ধীরে খেলার নিয়ন্ত্রণ নেয় লিভারপুল।

দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত খেলেন জার্মান তরুণ ফ্লোরিয়ান উইর্টজ—তিনি দুটি অ্যাসিস্ট করেন, একটি কোডি হাকপোকে, অন্যটি দোমিনিক সোবস্লাইকে। নিজের দেশে ফিরেও যেন এক উৎসবমুখর রাত কাটান তিনি।

৭৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ দৌড়ের শঙ্কা এড়াতে লিভারপুলের জন্য এটাই ছিল উপযুক্ত প্রতিপক্ষ—কারণ ফ্রাঙ্কফুর্ট নিজেদের আগের পাঁচ ম্যাচে ১৮ গোল হজম করেছিল এবং টানা নয় ম্যাচে ক্লিন শিট রাখতে ব্যর্থ হয়েছিল। অবাক করা বিষয়, প্রথম ম্যাচে ৫-১ ব্যবধানে জেতার পর পরের দুটি ম্যাচেই তারা একই ব্যবধানে হেরেছে।

লিভারপুলের প্রথম গোল আসে পিছিয়ে পড়ার নয় মিনিট পর একিতিকের পা থেকে—অ্যান্ডি রবার্টসনের পাস ধরে নিজ অর্ধ থেকে ছুটে গিয়ে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড।

এরপর কোনাতে ও ফন ডাইকের হেডে আসে দলের ৩০০তম ইউরোপীয় অ্যাওয়ে গোল ও ২০০তম চ্যাম্পিয়নস লিগ অ্যাওয়ে গোল। দ্বিতীয়ার্ধে উইর্টজের তীক্ষ্ণ পাসে হাকপো ও সোবস্লাইয়ের দুটি চমৎকার ফিনিশে জয় পায় লিভারপুল, শেষ পর্যন্ত ৫-১ ব্যবধানে মাঠ ছাড়ে তারা।