অপেক্ষা বাড়ল জিম্বাবুয়ের আন্তুম নাকভির

স্পোর্টস ডেস্ক
২০ অক্টোবর ২০২৫, ২১:৪৯
শেয়ার :
অপেক্ষা বাড়ল জিম্বাবুয়ের আন্তুম নাকভির

আন্তুম নাকভি নামটির সঙ্গে বিশ্ব ক্রিকেট এত দিনে হয়তো পরিচিত হয়ে যেত, যদি ভারতের বিপক্ষে গত বছর টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার অভিষেক হতো। কিন্তু জিম্বাবুয়ের স্কোয়াডে থাকার পরও নাগরিকত্ব নিয়ে জটিলতার কারণে তখন খেলতে পারেননি।

সেই জটিলতা অনেক আগেই কেটে গেছে। জিম্বাবুয়ের নাগরিকত্ব পেয়ে গেছেন নাকভি। তবে হারারে টেস্টও অপেক্ষার পালা ফুরালো না তার। ফলে আবারও অপেক্ষা বাড়ল তার অভিষেকের।

১৫৮, ৬৮, ১০৮ স্বীকৃত ক্রিকেটে নাকভির সর্বশেষ তিন ইনিংস। ব্যাট হাতে এমন পারফরম্যান্সের পর জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের (জেডসি) নির্বাচকরা তাকে আবারও দলে না ডেকে পারেননি। এখন জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্যাপ পরা তার জন্য সময়ের ব্যাপার হয়তো।

নাকভির আগে ১৩৭ জন ক্রিকেটার জিম্বাবুয়ের হয়ে টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু তাকে নিয়ে এত আলোচনার কারণ বহুজাতিক পটভূমি। নাকভির জন্ম বেলজিয়ামে হলেও বাবা পাকিস্তানি এবং মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। তবে তিনি বেড়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ায়, আর খেলবেন জিম্বাবুয়ের হয়ে!

নাকভির দাদা-দাদি অনেক আগেই পাকিস্তান ছেড়ে বেলজিয়ামে পাড়ি জমান। ইউরোপের দেশটিতেই জন্ম তার বাবার। তার মায়ের জন্মও বেলজিয়ামে। তবে মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত। নাকভির বয়স যখন ৪ বছর, তখন তার পরিবার বেলজিয়াম ছেড়ে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়।

নাকভি পড়াশোনা করেছেন সিডনির দ্য হিলস স্পোর্টস হাইস্কুলে। ক্রিকেটে হাতেখড়ি সেখানেই। তিনি একজন দক্ষ পাইলটও। একটি বাণিজ্যিক বিমান সংস্থার পাইলটের লাইসেন্সও আছে।

কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি নাকভির টান এতটাই ছিল যে বিমান চালনা ছেড়ে পুরোপুরি খেলায় মনোনিবেশ করেন। ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে চলে যান অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে। সেখানেই জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার সলোমন মায়ারের সঙ্গে তার পরিচয়। মায়ারই নাকভিকে জিম্বাবুয়েতে গিয়ে ক্রিকেট ক্যারিয়ার গড়তে উৎসাহিত করেন। তার কথামতো নাকভি জিম্বাবুয়েতে চলে যান। সঙ্গে নিয়ে যান ছোট ভাই আওয়াদ নাকভিকে।

২০২৩ সালে জিম্বাবুয়ের ঘরোয়া দল মিড ওয়েস্ট রাইনোসের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নাকভির অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি এবং বল হাতে ৫ উইকেট নিয়ে আলোচনা আসেন। পরের ম্যাচেও করেন সেঞ্চুরি।