মাসুদ-শফিকের দৃঢ় ব্যাটিং, প্রোটিয়াদের ক্যাচ ছাড়ার মহড়া
শান মাসুদ ও আব্দুল্লাহ শফিকের দায়িত্বশীল অর্ধশতক এবং সৌদ শাকিলের ধৈর্যশীল অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পাকিস্তান ৫ উইকেটে ২৫৯ রান সংগ্রহ করেছে। রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত এই লড়াইয়ের প্রথম দিন ছিল ধীরস্থির ও ধৈর্যের পরীক্ষা, যেখানে মাসুদ ও শফিকের ১১০ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি পাকিস্তানকে মজবুত ভিত গড়ে দেয়।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ন্ত্রিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ বোলিংয়ের কারণে দিনের শেষ পর্যন্ত দুই দলই সমান অবস্থানে থেকে যায়। যদিও প্রোটিয়ারা কিছু সুযোগ হাতছাড়া না করলে তাদেরই এগিয়ে থাকার কথা ছিল।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই কিছু চমক দেখান ওপেনার ইমাম-উল-হক ও আব্দুল্লাহ শফিক। শফিক ভাগ্যবান ছিলেন একাধিকবার—কাগিসো রাবাদার বলে ট্রিস্টান স্টাবসের হাতে ধরা পড়েও জীবন পান, আর মার্কো ইয়ানসেনের এক বল অফ স্টাম্প ছুঁয়ে গেলেও বেল পড়েনি। দশম ওভারে স্পিনে আসেন কেশভ মহারাজ, যার বলে শফিকের ব্যাট থেকে ক্যাচ উঠলেও তিনি নিজেই ফেলে দেন।
১৩তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন সাইমন হার্মার এবং তার ঘূর্ণিতে ইমাম-উল-হক বোল্ড হয়ে ফেরেন। এরপর মাসুদ আগ্রাসী মেজাজে খেলেন, হার্মার ও সেনুরান মুথুসামিকে ছক্কা হাঁকিয়ে চাপ কমান। শফিক একবার এলবিডব্লিউ সিদ্ধান্ত থেকে বাঁচেন ডিআরএসের কল্যাণে। এই জুটি প্রথম সেশনে পাকিস্তানকে নিয়ে যায় ৯৫/১ এ লাঞ্চে।
দ্বিতীয় সেশনে পাকিস্তানের রান তোলা ছিল ধীরগতির—৩২ ওভারে মাত্র ৮২ রান আসে। মাসুদ পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর শফিকও অর্ধশতক তুলে নেন। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১০০ রানের জুটি। শেষমেশ হার্মারের বলে লেগ সাইডে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শফিক (৫৭)।
বাবর আজম এসে ইতিবাচক শুরু করেন। তবে মাসুদ আবারও জীবন পান—এইবার মুথুসামির হাতে ক্যাচ পড়ে। মহারাজের এক এলবিডব্লিউ আবেদন পর্যালোচনায় নাকচ হয়, তবে বাবর পরের বলেই চমৎকার ক্যাচে (টনি দে জোরজি) ফেরেন।
মাসুদ ও শাকিল এরপর সতর্ক ব্যাটিংয়ে এগিয়ে নেন দলকে, ১০০ বল খেলে তারা যোগ করেন ৪৫ রান। কিন্তু মাসুদ ৮৭ রানে মহারাজের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজ তুলে ফেরেন।
শেষ দিকে মোহাম্মদ রিজওয়ান কিছু বাউন্ডারি খেললেও রাবাদার নতুন বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। এরপর সালমান আগা ও সৌদ শাকিল পাকিস্তানকে দিন শেষে আর বিপদে পড়তে দেননি। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ২৯ ওভারে ৮২ রান যোগ করে ২৫৯/৫ এ দিন শেষ করে।