একাই প্রথম ৫ উইকেট নিলেন রিশাদ, চাপে উইন্ডিজ
দলের অন্যরা যখন উইকেটের জন্য হাপিত্যেশ করছেন, তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে একই ধসিয়ে দিচ্ছেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের দেওয়া ২০৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৯২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবগুলো উইকেটই শিকার করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।
৫ উইকেট নিয়ে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন রিশাদ। আজকের আগে ওয়ানডেতে রিশাদের সেরা বোলিং ছিল ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৭ রানে ২ উইকেট। বাংলাদেশের প্রথম ডানহাতি স্পিনার হিসেবেও ওয়ানডেতে ৫ উইকেট পেলেন তিনি। আগের সেরা ছিল রাজিন সালেহর। ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪/১৬।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৮ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের রান ১০৮। উইকেটে শেই হোপের (৮) সঙ্গে আছেন গুড়াকেশ মোতি (৩)। জয়ের জন্য ১৩২ বলে দরকার আরও ১০৮ রান।
এর আগে প্রথমে ব্যাটিং করে লেজের ব্যাটারদের দৃঢ়তায় ২০৭ রান করে বাংলাদেশ। মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। প্রথম ১৩ বলের মধ্যেই আউট হন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার, দলের রান তখন মাত্র ৮। এরপরই নিজেদের গুটিয়ে নেন তিন ও চার নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ফিফটি তুলতে খরচ করে ৯৭ বল!
যদিও সাবধানী ব্যাটিং করেও উইকেট বাঁচাতে পারেননি শান্ত। ২৩তম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ৭৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। তখন নামের পাশে ৬৩ বলে মাত্র ৩২ রান তার। হৃদয়ের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়তে খেলতে হয়েছে ১২০ বল। ৭৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারানো বাংলাদেশ চতুর্থ উইকেট হারায় দলীয় ১১৫ রানে।
৯০ বলে ৫১ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি হৃদয়ের ১১তম ফিফটি। সর্বশেষ ছয় ইনিংসে এটি তার চতুর্থ ফিফটি। পাঁচে নামা অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন বড় ইনিংস খেললেও সেটি ছিল ধীরগতির। ৭৬ বলে ৪৬ রান করেন তিনি। ২৭ বরে ১৭ রান যোগ করেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশকে দলীয় দুই শ পার করান মূলত রিশাদ হোসেন। আট নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ১টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ২টি ছক্কা। ৪ বলে ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন তানভীর। শেষ ওভারের চতুর্থ বলে মোস্তাফিজুর রহমান রান আউট হলে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।
ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ইকোনমি দুইয়ের নিচে রাখেন স্পিনার খারি পিয়েরে। ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ১৯ রান খরচায় ১ উইকেট নেন তিনি। ৭ ওভারে ৩ উইকেট নিলেও ৪৮ রান খরচ করেন জেডন সিলস। দুইটি করে উইকেট নেন রোস্টন চেজ আর জাস্টিন গ্রেভস।