এবার ডিমের দাম বাড়ছে
চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস ও সবজির বাড়তি বাজারে এবার বাড়ছে ডিমের দাম। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করছেন ভোক্তারা।
ভোক্তাদের মতে, মাছ-মাংসের চড়া বাজারে প্রোটিনের জন্য ডিম ছিল ভরসা। দীর্ঘ সময় পণ্যটির দাম স্থিতিশীল থাকলেও এখন তা হঠাৎ বেড়েছে। এতে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট আরও বেড়েছে। অনেক নিম্নবিত্ত পরিবার ডিম খাওয়া কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
নাইট গার্ডের চাকরির সামান্য বেতন দিয়ে অনেক হিসেব করে বাজার করেন রাজধানীর কদমতলী এলাকার বাসিন্দা মো. ইসমাইল মিয়া। তিনি বলেন, মাছ-মাংস দামি খাবার। আগে একটু ডিম কিনে খেতাম। এখন সেটার দামও বেড়ে যাওয়ায় কিনে খেতে কষ্ট হচ্ছে।
কদমতলী ও মালিবাগ বাজারের খুচরা বিক্রেতারা জানান, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে। কদিন আগেও ফার্মের বাদামি ডিমের ডজন ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন তা ১৫০ টাকা হয়েছে। কেন বেড়েছে তা জানেন না কেউ।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
কদমতলী বাজারের ডিম বিক্রেতা মো. শাহজাহান বলেন, মুরগির দামে হেরফের নেই। অথচ ডিমের দাম বেড়ে গেছে। সরবরাহকারীরা আমাদের কিছুই জানাননি। তারা শুধু দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, আমাদেরও খুচরায় বাড়াতে হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে ডিমের দামে প্রভাব ফেলতে পারে। কয়েক দিনের মধ্যে দাম কমে আসতে পারে।
এদিকে মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়া সত্ত্বেও মুরগির দাম অনেকটা অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিন ব্রয়লার মুরগির কেজি দোকান ভেদে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আর সোনালি মুরগির কেজি ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
বাজারে সবজির মেজাজ এখনও অনেক চড়া। ঝিঙা, ধুন্দল, বরবটি, লতি, ঢ্যাঁড়শ, পটোলসহ বেশির ভাগ সবজি ৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বেগুন, করলা, টমেটোসহ কয়েক পদের সবজির দাম শতক ছাড়িয়েছে। শিমের দাম আরও বেশি। কমের
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
মধ্যে কেবল পেঁপে, কাঁচাকলা ও মিষ্টি কুমড়াই মিলছে। আলুর দাম আগের মতোই স্বস্তিদায়ক রয়েছে। হঠাৎ লাফিয়ে বেড়ে যাওয়া কাঁচামরিচের দাম আবার কমে এসেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে কোনো সুখবর নেই। আগের মতো চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের চাল। এর মধ্যে সরু তথা মিনিকেটের দাম ভোগাচ্ছে বেশি। বাজার ভেদে সয়াবিন তেলের দামও একেক রকম। কদমতলী ও মালিবাগ বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ লিটারের নতুন বোতল আগের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু কারওয়ানবাজারে উল্টোচিত্র। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসায়ীদের ঘোষিত নতুন দরের সয়াবিন বাজারে আসেনি। প্রতি লিটার ১৮৯ টাকার মধ্যেই বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ছয় টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল ভোজ্যতেল কোম্পানিগুলো। তাতে প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে হতো ১৯৫ টাকা। কিন্তু দাম বাড়ার বিষয়ে এখনও অনুমোদন দেয়নি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তারপরও কোথাও কোথাও বোতলজাত ও খোলাÑ দুই ধরনের সয়াবিন তেল বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম