আক্ষেপের সঙ্গে আশার কথাও শোনালেন শমিত
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা পেরিয়ে তখন চলছে যোগ করা সময়ের খেলা। সেটিরও বাকি মাত্র ১ মিনিট। ৩-২ গোলে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে দারুণ এক হেডে সমতায় নিয়ে আসেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার শমিত সোম। উল্লাসে ফেটে পড়ে জাতীয় স্টেডিয়াম। তবে সেই আনন্দের ক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরমুহূর্তেই গোল দিয়ে বাংলাদেশকে পয়েন্ট বঞ্চিত করে হংকং।
বাংলাদেশের জার্সিতে এই প্রথম গোল পেলেন শমিত। তবে গোল পেলেও বাংলাদেশ হার এড়াতে না পারায় সেই গোলের মূল্য তেমন নেই শমিতের কাছে। তাই এই ম্যাচ নিয়ে আক্ষেপটাই বেশি প্রকাশ করলেন এই মিডফিল্ডার। পরে অবশ্য আশার বাণীও শুনিয়েছেন তিনি।
৪-৩ গোলে হারার পর শমিত বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে গোল দিতে পারায় রোমাঞ্চিত। দেশের হয়ে গোল দিতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তবে দিন শেষে আমি গোল না পেয়েও যদি বাংলাদেশ জিতত তাহলে ভালো হতো। দল না জিতলে গোলের মানে নেই। তাও খুশি গোল দিতে পারায়। আর এই অনুভূতিটা কোনো দিন ভুলব না। তবে মন খারাপ, ম্যাচ টাই করলে ভালো লাগতে। যদি জিততাম আরও ভালো লাগত।’
হংকংয়ের শেষ গোলের সময় বাংলাদেশ দলকে একটু ছন্নছাড়া অবস্থায় দেখা গেছে। তবে বাংলাদেশ যেখানে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পরও ৩-৩ সমতায় ম্যাচ নিয়ে গিয়েছিল, তাতে আশার বাণীই শোনালেন শমিত, ‘আসলে গোলটা দ্রুত হয়ে গেছে, কেন হলো তা ওভাবে ভেবে দেখিনি। তবে এটা থেকে আমরা শিখব। ইতিবাচক দিক হলো আগে কখনো চিন্তা করা যেত না ১-৩ পিছিয়ে থেকেও আমরা ফিরে আসব। আমাদের দলে অনেক ক্যারেক্টার আছে, অনেক প্যাশন আছে। আমরা হাল ছাড়ব না। এটা একটা ফাউন্ডেশন—এখান থেকে আমরা শিখব।’
বাংলাদেশ হংকংয়ের বিপক্ষে যেমন নিজেদের ভুলে গোল খেয়েছে, সিঙ্গাপুর ম্যাচেও ছিল এমন চিত্র। বিষয়টি নিয়ে শমিতের ভাষ্য, ‘সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এভাবে গোল হজম করেছি। এগুলো থেকে শিখতে হবে। এমন ইজি গোল দেওয়া যাবে না। এমন ইজি গোল দিলে খেলায় জেতা যাবে না। শিখতে হবে কিছু করার নাই। সবাই জানে কী করতে হবে, আমরা ভিডিও রিভিউ করব। কোচ শেখাবে কীভাবে ব্যাকলাইন, মিডফিল্ডে আরও ভালো ডিফেন্ড করতে পারি। দিন শেষে এটা সবার দায়িত্ব। এটাই ফুটবল।’