‘ইনশাআল্লাহ আমরা জিতমু’

স্পোর্টস ডেস্ক
০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৭
শেয়ার :
‘ইনশাআল্লাহ আমরা জিতমু’

সংবাদ সম্মেলনে হাসিমুখেই সব সামলে নিলেন হামজা চৌধুরী। সিলেটি টান মিশ্রিত ইংরেজিতে তিনি জানালেন নিজের ও দলের লক্ষ্য, সামনে হংকং চায়নার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ঘিরে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে এখন সিঙ্গাপুর ও হংকং চায়নার পয়েন্ট ৪ করে, আর বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট ১। তাই বাছাইপর্বে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই লাল-সবুজদের সামনে।

দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার ভার যেমন থাকছে হামজার কাঁধে, তেমনি নিজের প্রথম জয়ের খোঁজেও আছেন লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার। জাতীয় দলের হয়ে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ড্র করে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল তার; ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ২–১ গোলে হেরে শেষ করতে হয়েছিল পরের ম্যাচটি। এখন পর্যন্ত বাছাইপর্বে জয় অধরাই রয়ে গেছে বাংলাদেশ ও হামজার জন্য।

তবে এবার দৃঢ় আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা ও সতীর্থদের সঙ্গে তার বোঝাপড়া এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো বলেই মনে করেন হামজা।

হামজা বলেন, ‘কোচ সব বড় সিদ্ধান্ত নেন, কিছু বিষয় নিয়ে আমার সঙ্গে পরামর্শ করেন। আমি অভিজ্ঞতা দিয়ে সহায়তা করার চেষ্টা করি। দল সপ্তাহখানেক ধরে কঠোর পরিশ্রম করছে। ইনশাল্লাহ, পরিকল্পনা ঠিক আছে। কোচ ও সতীর্থদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এখন অনেক ভালো।’

হাসিমুখে আত্মবিশ্বাস ঝরে পড়ল তার কণ্ঠে, ‘দলে এসে খুব ভালো লাগছে। ইনশাআল্লাহ আমরা জিতমু। হংকংয়ের বিপক্ষে জয়ের ভালো সুযোগ আছে। আমাদের মেধা, আগ্রাসন আর আত্মবিশ্বাস—সবই আছে। ইনশাআল্লাহ আমরা উইনিং টিম হমু।’

সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলতে গেলেও গোড়ালির চোটে সেই সফরে ছিলেন না হামজা। এদিন জানালেন সেই কারণও, ‘নেপাল সফরে যাইনি কারণ গোড়ালিতে একটু চোট ছিল। বার্মিংহামের বিপক্ষে খেলার পর পায়ে টান ও ব্যথা অনুভব করেছিলাম।’

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আগের ম্যাচের স্মৃতিও এখনো তাজা তার মনে। শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের একটি পেনাল্টি পাওয়া উচিত ছিল বলে দাবি করেন তিনি, ‘দিনটা আমাদের পক্ষে ছিল না। কয়েকটি অসাবধানী মুহূর্তে গোল খেয়েছি। শেষ দিকে ফাহিমের ওপর ফাউলের জন্য পেনাল্টি দেওয়া উচিত ছিল।’

তবু হতাশার পাতায় নতুন অধ্যায় যোগ করতে চান না হামজা। জানালেন, বাংলাদেশে আসার প্রতিবারের মতো এবারও উপভোগ করছেন সময়টা,‘এটা আমার প্রিয় সময়গুলোর একটি। দ্বিতীয়বারের মতো স্ত্রী আর সন্তানরাও এসেছে। সবাই আমাদের ভালোবাসছে—এটা দারুণ এক অনুভূতি।’

সেই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে চান মাঠে ঘামের ফোঁটায়। হংকং ম্যাচে জয় দিয়ে দেশের মানুষকে আনন্দ দিতে চান হামজা চৌধুরী।

‘আমরা কোচের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখি—বিশেষ করে আমি। তিনি খুব বুদ্ধিমান একজন মানুষ। দলটা তরুণ, সবকিছু একসঙ্গে গেঁথে তোলা সহজ নয়। কিন্তু যদি নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখি, তাহলে লক্ষ্য অর্জন সম্ভব’- বললেন আত্মবিশ্বাসী হামজা।