কোথায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আফগানিস্তান, জানালেন রশিদ

স্পোর্টস ডেস্ক
০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪১
শেয়ার :
কোথায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আফগানিস্তান, জানালেন রশিদ

৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি আফগানিস্তান। অনেকটা নিজেদের ঘরের মাঠ শারজায় ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং; তিন বিভাগেই নাস্তানাবুদ হয়েছে দলটি। তবে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান মনে করেন, ফিল্ডিংই সবচেয়ে পিছিয়ে দিয়েছে তাদের। 

ম্যাচশেষে রশিদ বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, আমরা খারাপ ক্রিকেট খেলেছি। আর তারা (বাংলাদেশ) পুরো সিরিজজুড়ে ব্যাট, বল এবং বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ে অসাধারণ ক্রিকেট খেলেছে। আমার মনে হয় এই জায়গাতেই আমরা এত পিছিয়ে ছিলাম। আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ক্যাচ মিস করেছি এবং ক্যাচ ম্যাচ জেতায়। ফিল্ডিংই ছিল সেই জায়গা, যেখানে আমরা তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে ছিলাম, এবং সেই কারণেই তারা সিরিজে তিনটি ম্যাচেই জিতেছে।’

সিরিজের তিন ম্যাচেই আগে ব্যাটিং করেছে আফগানিস্তান। আর সবগুলো ম্যাচেই দেড় শ’র আশেপাশে রান করেছে তারা। দলের ব্যাটিং ইনটেন্ট নিয়ে রশিদ বলেন, ‘ব্যাটিং দল হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে এটা প্রয়োজন। আপনার ইতিবাচক মানসিকতা এবং ইনটেন্ট থাকা উচিত। আমার মনে হয় না আমরা যে আক্রমণাত্মক মনোভবের জন্য পরিচিত, সেটা দেখাতে পেরেছি। আমরা অনেক রক্ষণাত্মক ক্রিকেট খেলেছি। এই কারণেই সিরিজজুড়ে ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমাদের শুরুটা ভালো হয়নি। আমাদের খুব ভালো লোয়ার অর্ডার আছে যারা দ্রুত রান করতে পারে, কিন্তু আমরা তাদের দক্ষতা প্রকাশ করার সুযোগ এবং সময় দেইনি। আমরা সবসময় তাদের খেলার জন্য অনেক ওভার বাকি রেখে এসেছি।’

আগামী বছরের টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিয়ে আফগান অধিনায়কের ভাষ্য, ‘(দলে) দক্ষতা এবং প্রতিভা আছে; কোনো সন্দেহ নেই। এটা কেবল মানসিকতার উপর নির্ভর করে। আমাদের সঠিক মানসিকতা এবং সঠিক চিন্তাধারা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এটাই খুবই প্রয়োজন। আমার মনে হয় সবাই অনেক দক্ষ; শুধু কন্ডিশন ভালোভাবে বোঝা এবং দলের জন্য কী গুরুত্বপূর্ণ এবং স্কোরবোর্ড কী প্রয়োজন তা বুঝতে হবে। আমার মনে হয় অনেক বিকল্প (খেলোয়াড়) থাকার চেয়ে এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানে প্রতিভা আছে; শুধু জানতে হবে তোমার দক্ষতা কীভাবে কাজে লাগাবে হবে এবং বিভিন্ন কন্ডিশন ও পরিস্থিতিতে তোমার প্রতিভা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে মাত্র আট থেকে নয়টি খেলা আছে, এবং আমি মনে করি এটি আমাদের জন্য একত্রিত হওয়ার এবং দল হিসেবে কাজ করার সেরা সুযোগ।’

তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে রশিদ বলেন, ‘তারা আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ। তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে এত ভালো করেছে; এ কারণেই তারা এখানে আছে। তারা সত্যিই ভালো পারফর্ম করেছে, এবং তাদের প্রতিভা এবং দক্ষতা আছে। আমরা সঠিক সময়ে তাদের যত বেশি সুযোগ দেব, তারা তত ভালো হবে। বশির আহমেদ খুব ভালো বোলার, আবদুল্লাহ (আহমাদজাই) এবং ওয়াফিউল্লাহ তারাখিলের সম্ভাবনা আছে। তাদের ভবিষ্যৎ খুবই উজ্জ্বল।’