ভিনি-এমবাপ্পের নৈপুণ্যে জয়ে ফিরে শীর্ষে উঠল রিয়াল
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের জোড়া গোলে ভিয়ারেরিয়ালকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। প্রতিবেশী অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে লজ্জাজনক হারের পর শনিবারের এ জয়েই ঘুরে দাঁড়াল লস ব্লাঙ্কোস।
প্রথমার্ধে হতাশাজনক পারফরম্যান্সে বিরতিতে যাওয়ার সময় দর্শকদের বাঁশি শুনতে হয় রিয়াল খেলোয়াড়দের। তবে বিরতির পর খেলা শুরু হতে না হতেই মাত্র ৯০ সেকেন্ডে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ভিনিসিয়ুস। কিলিয়ান এমবাপ্পের হেড ফ্লিক থেকে বল পেয়ে বাঁ দিক থেকে ভেতরে কাট করে শট নেন তিনি। সান্তি কোমেসানার পায়ে লেগে বল দিক পরিবর্তন করে গোলরক্ষক আর্নাউ টেনাসের হাত ফসকে জালে জড়িয়ে যায়।
মাদ্রিদের প্রধান ভরসা ছিলেন ভিনিসিয়ুসই। ৬৯তম মিনিটে রাফা মারিনের ফাউলে পেনাল্টি পেয়ে গোল করেন তিনি। টেনাসের ডাইভের নিচ দিয়ে বল ঠেলে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
তবে পুরো ম্যাচ জুড়ে পাল্টা আক্রমণে বিপজ্জনক ছিল ভিয়ারিয়াল। ইংল্যান্ড মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামকে একেবারে এক-অন-ওয়ান পরিস্থিতিতে টেনাস ঠেকিয়ে দেওয়ার কয়েক সেকেন্ড পরই ব্যবধান কমায় ভিয়ারিয়াল। জর্জিয়ান ফরোয়ার্ড জর্জেস মিকাউতাদজে জোরালো শটে থিবো কোর্তোয়ার জাল ভেদ করেন।
পরে ভিয়ারিয়ালের ফুল-ব্যাক সান্তিয়াগো মোরিনো দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ভিনিসিয়ুসকে টেনে ধরার অপরাধে। তিন মিনিট পর ব্রাহিম দিয়াজের নিখুঁত কাট-ব্যাকে গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে রিয়ালের জয় নিশ্চিত করেন এমবাপ্পে।
তবে ম্যাচ শেষে এমবাপ্পেকে পায়ের ইনজুরির কারণে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায়, যা রিয়ালের এই জয়ের আনন্দ কিছুটা ম্লান করে দেয়।
৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার শীর্ষে এখন রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের চেয়ে দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনা, যারা রবিবার সেভিয়ার বিপক্ষে খেলবে। ভিয়ারিয়াল আছে তৃতীয় স্থানে, তাদের সংগ্রহ ১৬ পয়েন্ট।