সর্বশেষ ভিডিও বার্তায় যা জানালেন শহিদুল আলম
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরায়েলের নৌ অবরোধ ভাঙা এবং গাজার ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে প্রায় ৪৫টি জাহাজে করে গাজার দিকে রওনা দিয়েছিলেন ৫০০ অধিকারকর্মী। তবে তাদের গাজায় যেতে দেয়নি ইসরায়েল। এই ৫০০ জনের মধ্যে আছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম।
এদিকে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’য় অংশ নেওয়া বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলম দুই দফায় ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘গাজার খুব কাছাকাছি চলে এসেছি।‘
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে দেওয়া দ্বিতীয় ভিডিওতে শহিদুল আলম জাহাজের ছাদ থেকে আশপাশের দৃশ্য তুলে ধরে ওই বার্তা দেন। ভিডিওতে তাকে হাসিমুখে সহযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে প্রথম ভিডিওটি তিনি জাহাজের কক্ষ থেকে দেন, যেখানে জানান উত্তাল সমুদ্রের কারণে তিনি কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন:
‘হামাসকে ধ্বংস করা যাবে না’
তিনি আরও জানান, অসুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ায় অনেকে তার খোঁজ নিয়েছেন, তবে সবাইকে আলাদা আলাদা উত্তর দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
ক্যাপশনে শহিদুল লেখেন, ‘আজ বমি করে পড়ে গিয়েছিলাম, তবে গুরুতর কিছু হয়নি। জাহাজে ২০ ডাক্তার ও নার্স রয়েছেন, ফলে চিকিৎসাসেবা ভালোই পাচ্ছি। যে মনোযোগ পেয়েছি, তা আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। আমার ভাগ্নি মাওলি বলতো, আমি একজন ডাম্রা কুইন। আমি গাজার কাছাকাছি চলে এসেছি।’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে, ইসরাইল দাবি করেছে, তারা একটি বাদে বাকি সব জাহাজ আটক করা হয়েছে। যদিও এই দাবির সত্যতা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ হলো একটি আন্তর্জাতিক মানবিক উদ্যোগ, যার মাধ্যমে গাজার অবরুদ্ধ জনগণের জন্য সমুদ্রপথে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। ফ্লোটিলায় ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সংসদ সদস্য অংশ নিয়েছেন।