সব দলেরই এমন দিন আসে, আমাদের তেমন দিন গেল: সিমন্স
পাকিস্তানকে ১৩৫ রানে আটকে রেখে প্রাথমিক কাজটা সেরেই রেখেছিল বাংলাদেশের বোলাররা। তবে মামুলি এই লক্ষ্যও পার করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটারা। বাজে সব শটে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন নুরুল হাসান সোহান-জাকের আলিরা। ফাইনাল খেলার স্বপ্ন তাতে অধরাই থেকে যায়। তবে ব্যাটারদের এমন দিন আসতে পারে বলেই মনে করেন বাংলাদেশ দলের কোচ ফিল সিমন্স।
এশিয়া কাপের অলিখিত সেমিফাইনালে ১১ রানে হারের পর বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। সব দলকেই কোনো না কোনো সময় এমন দিনের মুখোমুখি হতে হয়। আজ (গতকাল) আমাদের তেমন দিন গেল; আমাদের সিদ্ধান্ত আর শট নির্বাচন ভালো হয়নি।’
ভারতের ম্যাচের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষেও খেলতে পারেননি অধিনায়ক লিটন দাস। তাতেই বেরিয়ে আসে বাংলাদেশের ব্যাটিং খোলস। দলে একজন ভালো মিডল অর্ডার ব্যাটারের অভাব আছে কি না এমন প্রশ্নও করা হয় সিমন্সের কাছে।
বাংলাদেশ কোচ বলেন, ‘দুই ম্যাচ আগেই বাংলাদেশ একই ব্যাটিং অর্ডার দিয়ে ১৬০ রান তাড়া করেছে। দারুণ ছন্দে থাকা অধিনায়ককে হারানো আমাদের জন্য বড় ইস্যু ছিল। তবুও আমরা একই উইকেটে ১৬০ রান তাড়া করেছি। তখন ব্যাটাররা আজকের (গতকাল) তুলনায় ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। আপনি ভালো খেললেন কি না, তা ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করে না। আজকে ব্যাটসম্যানদের সিদ্ধান্ত খারাপ হয়েছে।’
গতকাল বাংলাদেশের হয়ে ৪ নম্বরে ব্যাটিং করেছেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যার গড় ১১, আর স্ট্রাইকরেট ১০০। এমন একজনকে কেন গুরুত্বপূর্ণ ওই পজিশনে ব্যাটিংয়ে পাঠানো হলো তার ব্যাখ্যায় সিমন্সের ভাষ্য, ‘আপনি এটাকে ৪ নম্বর হিসেবে দেখছেন। আমি দেখেছি, এমন একজনকে পাঠানো হচ্ছে, যিনি তখন পেসারদের সামলাতে পারতেন। তখনো পাওয়ারপ্লে চলছিল, তাই সে ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে বেশি খেলতে পারত। যদি তাকে নিচে পাঠাতাম, তাহলে শুধু স্পিনারদেরই মুখোমুখি হতো। আমার কাছে তখনো জাকের আর শামীম ছিল, যারা স্পিনারদের আরও ভালো খেলে। এই ছিল পেছনের চিন্তাভাবনা।’