বিফলে সাইফের একার লড়াই, বাংলাদেশকে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
ভারতের দেওয়া ১৬৯ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই বাহারি সব শটে রানের চাকা সচল রেখেছেন সাইফ হাসান। কিন্তু তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য আরেক পাশে দাঁড়াতে পারেননি কোনো ব্যাটার। পারভেজ হোসাইন ইমন কিছুটা চেষ্টা করলেও বাকিরা দুই অঙ্কের রানও স্পর্শ করতে পারেননি। তাই বৃথাই গেল সাইফের ৫১ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল ভারত।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ হাসান তামিমকে হারায় বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ৪২ রান যোগ করে বাংলাদেশকে আশা দেখান সাইফ ও ইমন। দলীয় ৪৬ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২১ রান করে আউট হয়ে যান ইমন।
মাঝের ওভারগুলোতে ভারতীয় স্পিনারদের ছোবলে একের পর এক উইকেট বিলিয়ে আসেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, শামীম হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিবরা কেউই দুই অঙ্কের রানও স্পর্শ করতে পারেননি। আরেক পাশে এসব তাকিয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না সাইফের। শেষ পর্যন্ত নবম ব্যাটার হিসেবে ফেরেন সাইফ। তার আগে ৫১ বলে ৩টি চার ও ৫ ছক্কায় করেন ৬৯ রান। পরে বাংলাদেশ অলআউট হয় ১২৭ রানে, ভারত জয় পায় ৪১ রানে।
আগামীকাল একই মাঠে, একই সময়ে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সুপার ফোরের তিনটি ম্যাচের মধ্যে প্রথম দুইটি জিতে ফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত। আর আগামীকালের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটি পরিণত হয়েছে অলিখিত সেমিফাইনালে। অন্যদিকে, বিদায় নিশ্চিত হয়েছে শ্রীলংকার।
এর আগে, অভিষেক শর্মার ঝোড়ো ৭৫ রানে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় ভারত। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন টসে জিতে ফিল্ডিং নেয় বাংলাদেশ। তানজিম হাসান সাকিবের প্রথম ২ ওভার ও নাসুম আহমেদের প্রথম ওভার দেখেশুনেই খেলে ভারত। এই সময়ে আসে মাত্র ১৭ রান। এরপরই ঝড় শুরু করেন অভিষেক ও শুভমান গিল। পাওয়ার প্লের বাকি ৩ ওভারে এই দুজন করেন ৫৫ রান। সপ্তম ওভারে রিশাদ হোসেনের বলে ১৯ বলে ২৯ রান করে গিল আউট হলে স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ শিবিরে।
গিল আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর রিশাদের বলে ফেরেন শিভাম দুবেও। তবে ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং চালিয়ে যান অভিষেক। শেষমেষ ১১তম ওভারে ফেরেন এই ওপেনার। তবে বাংলাদেশের কোনো বোলার তাকে আউট করতে পারেননি। রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। তার আগে অবশ্য কাজের কাজটি করে দিয়ে যান। খেলেন ৩৭ বলে ৭৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
অভিষেক আউট হওয়ার পর ভারতের রান তোলার গতিও থমকে যায়। সূর্যকুমার যাদব-তিলক ভার্মারা দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে ব্যর্থ হন। এই দুজনকে ফেরান দুই পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ও তানজিম হাসান সাকিব। তবে শেষদিকে ভারতকে বড় পুঁজি এনে দেয় হার্দিক পান্ডিয়ার ব্যাটিং। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। স্লথ ব্যাটিংয়ে ১৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। তাতে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানে থামে ভারত।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন রিশাদ। ৩ ওভারে তিনি খরচ করেন ২৭ রান। একটি করে উইকেট নেন তানজিম, মোস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন। ২ ওভারে ৭ রান দিয়ে সবচেয়ে ইকোনমিক্যাল বোলার অবশ্য সাইফ হাসান।