এমবাপ্পের জোড়া গোলে রিয়ালের ছয়ে ৬
রিয়াল মাদ্রিদের দুরন্ত জয়ে উড়ল লেভান্তে। শুরু থেকে আক্রমণের ঝড় তুলে ৪-১ গোলের দাপুটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল জাবি আলোনসোর দল। গোল উৎসবে নেতৃত্ব দিলেন ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে, নতুন ঠিকানায় প্রথম গোলের দেখা পেলেন ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনো।
মঙ্গলবার রাতে প্রতিপক্ষের মাঠে এই জয়ে ছয় ম্যাচে শতভাগ সাফল্য ধরে রাখল রিয়াল। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আবারও পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গেল শিরোপাধারী বার্সেলোনার চেয়ে। এক ম্যাচ কম খেলে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে কাতালান ক্লাবটি।
এদিন শুরু থেকে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে খেলে রিয়াল মাদ্রিদ। ৬২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে তারা নেয় মোট ২৪ শট, যার ১০টি ছিল লক্ষ্যে। লেভান্তে শট নেয় ১১টি, কিন্তু মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে।
২৮তম মিনিটে গোলের খাতা খোলে ভিনিসিউস জুনিয়র। ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস পেয়ে ডান দিক থেকে দুই ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে তীক্ষ্ণ কোণ থেকে নেওয়া তার শট নিস্তব্ধ করে দেয় গোলরক্ষককে।
১০ মিনিট পর দুর্দান্ত পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। মাঝমাঠ থেকে ভিনিসিউসের পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে শক্তিশালী শটে লক্ষ্যভেদ করেন ১৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইন উইঙ্গার মাস্তানতুয়োনো।
বিরতির আগে আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি রিয়াল। প্রথমার্ধে ১৬ শট নেওয়ার মধ্যে ছয়টি ছিল লক্ষ্যে, অন্যদিকে লেভান্তে একটি শটও রাখতে পারেনি পোস্টে।
৫৪তম মিনিটে ভাগ্যের জোরে ব্যবধান কমায় লেভান্তে। রেয়াল ডিফেন্ডার ডিন হাউসেনের ডিফ্লেকশন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়ার মাথায় লেগে জালে পাঠিয়ে দেন প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় ইত্তা ইয়ং।
তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফের নেন এমবাপ্পে। ৬৪তম মিনিটে বক্সে ফাউলের শিকার হয়ে নিজেই নেন পেনাল্টি, প্যানেনকা শটে গোল করে ফেরান দুই গোলের লিড।
মাত্র দুই মিনিট পর আর্দা গুলেরের পাস থেকে দারুণ একক নৈপুণ্যে বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এ মৌসুমে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা এমবাপ্পের গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৭-এ। হ্যাটট্রিকের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। শেষ দিকে ভিনিসিউসও কাছাকাছি গিয়েও গোল মিস করেন।
শেষ পর্যন্ত আর ব্যবধান না বাড়লেও ৪-১ গোলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচে সাত জয়ে অপরাজেয় থাকল শাবি আলোনসোর শিষ্যরা।