হাইকোর্টে আমিনুলের চিঠি প্রথমে স্থগিত, পরে আবার বহাল

স্পোর্টস ডেস্ক
২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৯
শেয়ার :
হাইকোর্টে আমিনুলের চিঠি প্রথমে স্থগিত, পরে আবার বহাল

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচনের আগে সাধারণ পরিষদে কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে হাইকোর্টের পূর্বের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। হাইকোর্ট ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতির দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করেছিলেন। সেই আদেশের মাত্র দেড় ঘণ্টা পর চেম্বার আদালতের নতুন আদেশে তা স্থগিত করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, মূল রিটের শুনানি ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতুবি করা হলো এবং সে সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ স্থগিত থাকবে।

এর আগে বিসিবির সভাপতি আমিনুল ইসলাম ১৮ সেপ্টেম্বর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং জেলা/বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বরাবর চিঠি পাঠিয়ে সাধারণ পরিষদে কাউন্সিলর মনোনয়নের ফরম বাতিল করে নতুন ফরম পূরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই চিঠির বৈধতা নিয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি আজ বিকেল হাইকোর্ট বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়।

হাইকোর্ট রুলে ওই চিঠির কার্যকারিতা ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেছিলেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ আবেদন করলে চেম্বার আদালত সেই স্থগিতাদেশ স্থগিত করে, ফলে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলামের চিঠি কার্যকর থাকবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ।

বিসিবির আজ সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বোর্ড কার্যালয়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্যাহ আল মাহমুদ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশে কোনো বাধা নেই এবং ১৮ সেপ্টেম্বরের চিঠি বহাল থাকবে। এর মাধ্যমে অ্যাডহক কমিটির সদস্যদের মধ্য থেকে কাউন্সিলরের নাম পাঠানোর সুযোগ থাকবে।

বিসিবি নির্বাচনের তারিখ ৬ অক্টোবর। নির্বাচনের পর নির্বাচিত ২৫ জন পরিচালক থেকে বোর্ডের সভাপতি ও সহসভাপতি নির্বাচিত হবেন। সাধারণ পরিষদের সদস্যরাই (কাউন্সিলর) পরিচালক পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সর্বশেষ নির্বাচনে কাউন্সিলরের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৭০।

প্রথমে কাউন্সিলর মনোনয়নের শেষ সময় ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। দুই দফা সময় বৃদ্ধি করে তা আজ সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হচ্ছে। ১৮ সেপ্টেম্বর বিসিবি সভাপতির চিঠি অনুযায়ী, আগের ফরম বাতিল করে নতুন ফরম পূরণ করে সময়মতো নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

রিট আবেদনকারীরা—এ বি এম মনজুরুল আলমসহ চারজন—চিঠির বৈধতা নিয়ে আদালতে রিট করেছিলেন। হাইকোর্টের আদেশের পর রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস জানিয়েছেন, পূর্বের মনোনীত কাউন্সিলররা নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করবেন এবং তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকবে।