অবসর ভেঙে ওয়ানডেতে ফিরলেন কুইন্টন ডি কক
অবসর ভেঙে ওয়ানডেতে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। আগামী অক্টোবরে পাকিস্তান সফরের জন্য ঘোষিত দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি—দুই দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি। এর আগে নামিবিয়ার বিপক্ষে একমাত্র টি-টোয়েন্টিতেও তাকে রাখা হয়েছে।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরই ৫০ ওভারের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি কক। দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে তার সর্বশেষ সাদা বলের ম্যাচ ছিল বার্বাডোজে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেননি তিনি, তবে এরপর আর জাতীয় দলের কোনো দলে জায়গা হয়নি। তৎকালীন কোচ রব ওয়াল্টারও জানতেন না তার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা কী। এই সময়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে নিয়মিত খেলেছেন তিনি, সর্বশেষ ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) পর্যন্ত।
বর্তমান প্রধান কোচ শুকরি কনরাড জানিয়েছেন, ডি ককের সঙ্গে তার আলোচনা হয়েছে এবং তিনি আবারও জাতীয় দলে খেলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কনরাড বলেন, ‘কুইন্টনের হোয়াইট-বল ক্রিকেটে ফেরা আমাদের জন্য বিশাল প্রাপ্তি। গত মাসে তার সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছিলাম। তখনই স্পষ্ট হয়েছিল যে তিনি এখনও দেশের হয়ে খেলতে প্রবল আগ্রহী। সবাই জানে, দলে তিনি কী মান যোগ করেন। তাকে আবারও পাওয়া আমাদের জন্য শুধু সুফলই বয়ে আনবে।’
অবসর নেওয়ার সময় ডি কক ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভবিষ্যতে হয়তো আবার ফিরতে পারেন—বিশেষ করে ২০২৭ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ সামনে রেখে। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এ মুহূর্তে আমি তা ভাবছি না। তবে জীবন অনিশ্চিত, অনেক অদ্ভুত জিনিস ঘটে। সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কিন্তু আমি মনে করি না সেটা হবে।’
এখন পর্যন্ত ডি কক খেলেছেন ১৫৫ ওয়ানডে, করেছেন ৬৭৭০ রান। গড় ৪৫.৭৪, স্ট্রাইক রেট ৯৬.৬৪। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার ম্যাচ ৯২টি, রান ২৫৮৪, স্ট্রাইক রেট ১৩৮.৩২। খেলেছেন তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ—২০১৫, ২০১৯ ও ২০২৩ সালে।
আর অবসরের পর দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যেটি মিস করেছেন, তা হলো চলতি বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেখানে সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয় তার দল।