দর্শকদের উদ্দেশে ৬ ও শূন্যের ইঙ্গিত করে কী বোঝালেন হারিস
একসময় তুমুল উত্তেজনা থাকলেও বর্তমানে ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেট লড়াই অনেকটাই নিরুত্তাপ। অন্তত মাঠের পারফরম্যান্স সেটিরই স্বাক্ষ্য দেয়। তবে খেলার বাইরের ঘটনার ঝাঁজ বেড়েছে আরও কয়েকগুণ। তাইতো লড়াইয়ে সামঞ্জস্যতা না থাকলেও দুই দেশের ম্যাচ দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন দর্শকরা।
পাকিস্তান-ভারত খেলায় উত্তেজনা অনেক আগে থেকেই ছিল। দ্বিপক্ষীয় সিরিজ বন্ধ হওয়ার পর সেটি আরও বেড়েছে। কারণ, এসিসি কিংবা আইসিসি টুর্নামেন্টেই মুখোমুখি হয় দুই দল। চলতি বছরের পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের পর দুই দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি উত্তাপ বেড়েছে ক্রিকেটাঙ্গণেও। শঙ্কা জেগেছিল এশিয়া কাপে না-ও মুখোমুখি হতে পারে দুই দল।
সব শঙ্কা কাটিয়ে মাঠে নামলেও গ্রুপপর্বের প্রথম দেখায়ই দেখা যায় বৈরিতা। টসের সময় ও ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাননি ভারতের ক্রিকেটাররা। যেটি নিয়ে জল গড়ায় বহুদূর। এরপর গতকাল সুপার ফোরের ম্যাচেও দেখা যায় একই কাণ্ড। এই ম্যাচের ঝাঁজ আরও বেড়ে যায় খেলোয়াড়দের অন্য আরও কর্মকাণ্ডে।
এই যেমন গতকাল ৪৫ বলে ৫৮ রান করা সাহিবজাদা ফারহান হাফসেঞ্চুরি করেই ব্যাটকে ‘বন্দুক’ বানিয়ে আকাশের দিকে তিনবার ফায়ারিংয়ের দৃশ্যায়ন করেন। যদিও এর মাধ্যমে কী বুঝিয়েছেন তা স্পষ্ট নয়।
ফিফটির পর সাহিবজাদা ফারহানের উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত
ইঙ্গিতপূর্ণ ছিল পেসার হারিস রউফের আচরণও। হারিস হাতের ৬ আঙুল দিয়ে প্রথমে ৬ ও পরে শূন্যের ইঙ্গিত করেন। সমর্থকরা ধারণা করছেন, ৬ এর মাধ্যমে ভারতের চালানো অপারেশন সিন্দুরের সময় পাকিস্তানের দাবিকৃত ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার বিষয়ে ইঙ্গিত করেছেন তিনি, শূন্য দিয়ে বুঝিয়েছেন পাকিস্তানের কোনো যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
একই রকম ধারণা টাইমস অব ইন্ডিয়ার। হারিস একবার সীমানার কাছে ফিল্ডিংয়ের সময় ভারতীয় দর্শকদের দিকে ফিরে শূন্য থেকে হঠাৎ করে কিছুর পড়ে যাওয়ার দৃশ্যায়নও করে দেখান। এর মাধ্যমে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্য বোঝাতে চেয়েছেন বলেও মনে করা হচ্ছে।