তামিমের অভিযোগের জবাব দিলেন আসিফ মাহমুদ
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নির্বাচন আগামী ৬ অক্টোবর। আজ কাউন্সিলর মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময়। এরই মধ্যে নির্বাচন ঘিরে তৈরি হয়েছে অস্থিরতা। এরই মধ্যে গতকাল বিকেলে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করে বর্তমান সরকার ও বিসিবি সভাপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলেছেন নির্বাচনে সভাপতি পদের প্রার্থী সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
তামিমের অভিযোগ, ‘আমি এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ার প্রত্যাশায়। কিন্তু কাউন্সিলর মনোনয়ন ঘিরে যা ঘটছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সভাপতির পক্ষ থেকে এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে সরাসরি চিঠি পাঠিয়ে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হচ্ছে।’
জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কের আরও অভিযোগ, ‘এটা কোনো নির্বাচন নয়, বরং সিলেকশন চলছে। মনে হচ্ছে, সরকার সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। কিছু বিষয় মৌখিকভাবে হয়েছে, যার প্রমাণ দেখানো সম্ভব নয়। তবে কিছু কাজ হয়েছে, যা নথিপত্রসহ প্রমাণ করা যাবে। ১৬ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠনের পর থেকে যেকোনো সিদ্ধান্ত কমিশনের মাধ্যমেই হওয়ার কথা। কিন্তু ১৭ সেপ্টেম্বর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পরিচালকদের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমার সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়। প্রথমে তা ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, পরে আবার ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হলো। দ্বিতীয়বার সময় বাড়ানো হয় একতরফাভাবে, পরিচালকদের মতামত ছাড়াই।’
তামিম সরাসরি নাম উল্লেখ না করলেও ইঙ্গিতটা যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার দিকে। তামিমের এমন অভিযোগের জবাব ক্রীড়া উপদেষ্টাও পরে দিয়েছেন।
গতকাল রাতে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় টেলিভিশনে ক্রীড়া উপদেষ্টা স্পষ্ট করেছেন নিজের জায়গা। তিনি জানান, সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। বরং রুটিন কাজ করছে। আসিফ মাহমুদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘সরকারের রুটিন কার্যক্রমকে যদি হস্তক্ষেপ বলেন, তাহলে...এখানে বুঝতে হবে সরকারের কতটুকু এখতিয়ার আছে। এখতিয়ারের বাইরে যদি কিছু করে তাহলে বলতে পারেন যে অবৈধ হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। সেটা হলে প্রয়োজনে আপনি আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন, প্রয়োজনে আইসিসিকে বলতে পারেন।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ক্রীড়া সংস্থার মধ্য থেকেই (কাউন্সিলর) দিতে হবে সেটা আমরা বলছি। এটা বলছি কারণ আমরা যথাযথভাবেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই। আপনি ক্রীড়া সংস্থার মধ্য থেকে দিলেন না কাউন্সিলর, আপনি যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভাপতি-সেক্রেটারি আসতেছে তাদের নিয়েই ইলেকশন করলেন.. তখন হাইকোর্টে একটা রিট হবে।... আমাদের অধীনস্ত যে কারো সঙ্গে আমি কথা বলতেই পারি, আমার সচিব কথা বলতেই পারে। এটা সরকারের রুটিন কার্যক্রম। এটাকে হস্তক্ষেপ বলার সুযোগ নেই।’
নির্বাচনকে ঘিরে ক্রিকেটার তামিমকে সামনে রেখে সুবিধা আদায় করতে চাচ্ছে একটি পক্ষ, এমনটাও দাবি করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা।