কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারিয়ে বায়ার্নের দাপুটে শুরু
চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় মঞ্চে চেলসির রক্ষণে দেখা গেল একের পর এক প্রাথমিক পর্যায়ের ভুল। আর সেই ভুলের সুযোগ নিয়ে ঘরের মাঠে বড় জয় তুলে নিল জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় বুধবার রাতে ৩-১ গোলে জয় তুলে নেয় বায়ার্ন।
প্রথমার্ধে এক আত্মঘাতী গোল এবং একটি পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। চেলসির হয়ে একটি গোল শোধ করেন কোল পালমার। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আরও একটি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন হ্যারি কেইন।
ম্যাচের ২০তম মিনিটে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। ডান প্রান্ত থেকে মাইকেল ওলিসের নিচু ক্রস চেলসি ডিফেন্ডার ট্রেভো শ্যালাবার গায়ে লেগে চলে যায় নিজেদের জালেই। বলের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন দাইও উপামেকানো, কিন্তু শ্যালাবার নিজের ভুলেই গোল হজম করান।
এর সাত মিনিট পর চেলসির দুর্দশা আরও বাড়ে। এবার মাঝমাঠে কাইসেদোর ফাউলে পেনাল্টি পায় বায়ার্ন, যা থেকে ২-০ করেন হ্যারি কেইন।
২৯তম মিনিটেই ব্যবধান কমায় চেলসি। মাঝমাঠ থেকে ড্রাইভিং রান শুরু করে কোল পালমার বল বাড়ান মালো গুস্তোকে। গুস্তো বল রিটার্ন করলে পালমার নিখুঁত ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় ২-১ ব্যবধানে বায়ার্নের এগিয়ে থাকার মধ্য দিয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুতে কিছু সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি দুই দলই। ৫৭তম মিনিটে দারুণ সুযোগ পান হ্যারি কেইন, কিন্তু চেলসি গোলরক্ষক রবার্ট সানচেস এগিয়ে এসে তা ঠেকিয়ে দেন। তিন মিনিট পর ওলিসের শটও দুর্দান্ত রিফ্লেক্সে বাঁচান এই স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
তবে ৬৩তম মিনিটে আর রক্ষা হয়নি। মাঝমাঠ থেকে ভুল ব্যাকপাস দিতে গিয়ে বল হারান মালো গুস্তো। চেলসির রক্ষণ তখন অগোছালো, গোলরক্ষকও ছিলেন ভুল পজিশনে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেইন হিমশীতল স্নায়ুতে বল জালে পাঠান—বায়ার্নের তৃতীয় গোল।
৮৭তম মিনিটে চেলসির পক্ষে দ্বিতীয়বার জাল খুঁজে পান কোল পালমার, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়। বাকি সময়ে আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়লেও গোলের দেখা পায়নি ব্লুজরা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে এমন হার চেলসির জন্য বড় ধাক্কা। প্রতিযোগিতার এই মঞ্চে রক্ষণভাগের এমন দুর্বলতা তাদের জন্য ভবিষ্যতে আরও সমস্যার কারণ হতে পারে।