আর্সেনালের জয়ে শুরু
চ্যাম্পিয়নস লিগের নতুন মৌসুমে নিজেদের প্রথম ম্যাচে প্রথমার্ধের ধীরগতি আর নিষ্প্রাণতা কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে প্রাণ ফিরিয়েছিল আর্সেনাল। বদলি হিসেবে নেমেই ম্যাচে গতি আনেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি ও লিয়ান্দ্রো ত্রোসার। মাত্র ৩৬ সেকেন্ডের মাথায় দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মার্তিনেল্লি। এরপর শেষ দিকে গোল করে জয়ের মোড়টি নিশ্চিত করেন ত্রোসার। আথলেতিক বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শুভসূচনা করল মিকেল আর্তেতার দল।
মঙ্গলবার সান মামেসে নতুন মৌসুমের প্রথম দিনেই জয় তুলে নেয় ইংলিশ ক্লাবটি। শুধু গোল করাই নয়, মার্তিনেল্লি ও ত্রোসার উভয়েই একে অপরের গোলে সরাসরি অবদান রেখেছেন। বদলির ভূমিকা থেকেই তারা হয়ে উঠেন ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেওয়া নায়ক।
প্রথমার্ধে অবশ্য দুই দলই ছিল নিষ্প্রভ। গোলমুখে কার্যকর কোনো সুযোগ সৃষ্টি করতে পারেনি কেউই। আর্সেনালের নেওয়া চারটি শটের কেবল একটি লক্ষ্যে ছিল, আর বিলবাওয়ের সাতটি শটই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
২৪তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ তৈরি করেন আর্সেনালের সুইডিশ স্ট্রাইকার ভিক্তর ইয়োকেরেশ। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে এনে বক্সে ঢুকলেও তার শট ছিল দুর্বল, সহজেই ঠেকান বিলবাও গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর মাথা দিয়ে নেওয়া শটেও ব্যর্থ হন তিনি।
এরপরই ঘটে দুর্ঘটনা। সতীর্থের সঙ্গে হেডের সময় সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পান ইয়োকেরেশ। তার মাথা থেকে রক্তপাত হতে দেখা যায়। দ্রুত চিকিৎসা শেষে মাথায় ব্যান্ডেজ বেঁধে আবার মাঠে ফিরলেও পরে ৬৫তম মিনিটে তাকে তুলে নিয়ে মাঠে নামানো হয় লিয়ান্দ্রো ত্রোসারকে।
এরপর ৭১তম মিনিটে এবেরেচি এজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। এই দুই বদলি ফুটবলারের দারুণ সমন্বয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই আসে কাঙ্ক্ষিত গোল।
মাঝমাঠ থেকে ফ্লিক করে চমৎকার এক পাস বাড়ান ত্রোসার। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ গতি ও দক্ষতায় প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলেন মার্তিনেল্লি। ডি-বক্সে ঢুকে ঠাণ্ডা মাথায় পরাস্ত করেন গোলরক্ষককে, এগিয়ে নেয় আর্সেনালকে।
নির্ধারিত সময়ের মাত্র তিন মিনিট বাকি থাকতে দ্বিতীয় গোল করে জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে লন্ডনের ক্লাবটি। বাঁ দিক দিয়ে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢোকেন মার্তিনেল্লি। এবার গোলদাতার ভূমিকায় নয়, বরং সহায়কের। তার কাট-ব্যাক পাসে দুই ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে দুর্দান্ত শটে জাল খুঁজে নেন ত্রোসার।
দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল ছিল অনেক বেশি গোছানো ও আক্রমণাত্মক। তারা মোট সাতটি শট নেয়, যার মধ্যে পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে বিলবাও দ্বিতীয়ার্ধে চারটি শট নিলেও মাত্র দুটি ছিল লক্ষ্যে, কিন্তু সেগুলোও খুব একটা চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেনি আর্সেনালের গোলরক্ষকের জন্য।