চট্টগ্রাম বন্দরে ট্যারিফ বাড়ল ৪১ শতাংশ
চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ (মাশুল) বেড়েছে গড়ে ৪১ শতাংশ। বন্দর ব্যবহারকারীদের জোর আপত্তির মধ্যেই গত রবিবার রাতে নতুন ট্যারিফের প্রজ্ঞাপন জারি হয়, যা গতকাল সোমবার থেকে কার্যকর হয়েছে। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন সেবা খাতে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছিল। প্রায় ৪০ বছর পর অন্তর্বর্তী সরকার বন্দরের ট্যারিফ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়।
এর আগেও ট্যারিফ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছিল বন্দর; কিন্তু ব্যবসায়ীদের বাধার মুখে কার্যকর করতে পারেনি। চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক ট্যারিফ কার্যকরের বিষয়টি আমাদের সময়কে নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত জুন মাসে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৪১ শতাংশ হারে বর্ধিত ট্যারিফ প্রস্তাব করলে আপত্তি জানায় বন্দর ব্যবহারকারীরা। ২ জুন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে ট্যারিফ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়। সেখানে বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা তাদের আপত্তির বিষয় তুলে ধরেন; কিন্তু শেষ পর্যন্ত বন্দরের প্রস্তাবনা অনুসারেই ট্যারিফ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ৫২টি খাতে ট্যারিফ আদায় করা হয়। সেখান থেকে ২৩টি খাতে সরাসরি বর্ধিত হারে ট্যারিফ আদায় অনুমোদন হয়েছে।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
দেশে আমদানি-রপ্তানিকেন্দ্রিক সমুদ্র বাণিজ্যের ৯২ শতাংশ এবং কনটেইনার ও পণ্য পরিবহনের ৯৮ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে।
সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুসারে সবচেয়ে বেশি ট্যারিফ বেড়েছে কনটেইনার পরিবহন খাতে। প্রতিটি ২০ ফুট লম্বা কনটেইনারে ১১ হাজার ৮৪৯ টাকা থেকে ৪ হাজার ৩৯৫ টাকা বেড়ে নতুন ট্যারিফ দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ২৪৩ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কনটেইনারে ট্যারিফ বেড়েছে গড়ে ৩৭ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
কনটেইনারবাহী জাহাজের ক্ষেত্রে আমদানি কনটেইনারের জন্য ৫ হাজার ৭২০ টাকা ও রপ্তানি কনটেইনারের জন্য ৩ হাজার ৪৫ টাকা ট্যারিফ বেড়েছে। প্রতিটি কনটেইনার ওঠানামার ক্ষেত্রে ট্যারিফ বাড়ানো হয়েছে প্রায় তিন হাজার টাকা। কনটেইনারের প্রতিকেজি পণ্যের জন্য ট্যারিফ আগের ১ টাকা ২৮ পয়সার সঙ্গে আরও ৪৭ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট খায়রুল আলম সুজন বলেন, যখন ট্যারিফ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, তখন আমরা আপত্তি জানিয়েছিলাম। আপাতত ট্যারিফ যেন বাড়ানো না হয়, সেটা বলেছিলাম। আর যদি বাড়াতেই হয়, তাহলে যেন সেটা ১০ থেকে ১৫ শতাংশের মধ্যে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেটা বলেছিলাম; কিন্তু এখন ৪১ শতাংশ হারে ট্যারিফ কার্যকর করা হয়েছে। এটা সার্বিকভাবে আমদানি-রপ্তানিকারকদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম