২০ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা লেনদেন

চট্টগ্রাম ব্যুরো
১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
২০ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সাড়ে ৯০০ কোটি টাকা লেনদেন

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও হাজার কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও তার স্ত্রী ইসমাত আরা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুই মামলায় ২০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রায় ৯৫০ কোটি টাকা লেনদেন নিয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এতে দুজনের অবৈধ সম্পদ মোট প্রায় ১৫ কোটি ৪৫ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫৭ টাকার অস্তিত্ব মিলেছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক বাদী হয়ে সংস্থাটির চট্টগ্রাম-১ কার্যালয়ে এই দুটি মামলা দায়ের করেন।

দুদকের এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক এমপি দিদারুল আলম অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ ৩৯ হাজার ৩০৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। পাশাপাশি ২০টি ব্যাংক হিসাবে ৯৪৮ কোটি ৮৮ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩৮ টাকার বিপুল লেনদেনের মাধ্যমে আয়ের উৎস আড়াল করেছেন।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার স্থাবর সম্পদ ২৪ কোটি ৩৩ লাখ ২০ হাজার ৯৬১ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৭ টাকা, মোট ৫৭ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার ৭০৮ টাকা। কিন্তু ২০১০-১১ থেকে ২০২৪-২৫ করবর্ষ পর্যন্ত তার বৈধ আয়ের উৎস মিলেছে মাত্র ৪৩ কোটি ৬২ লাখ ৫০ হাজার ৪০১ টাকা। ফলে ঘোষিত

সম্পদ ও বৈধ আয়ের মধ্যে ১৩ কোটি ৯৮ লাখ টাকার অমিল ধরা পড়ে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দায়ের করেন।

একই দিনে সাবেক এমপি দিদারের স্ত্রী ইসমাত আরা বেগমের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের হয়। দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে ৩ কোটি ১৮ লাখ ২৩ হাজার ১৪৩ টাকার সম্পদ পাওয়া গেলেও বৈধ আয়ের উৎসে মিলেছে মাত্র ১ কোটি ৭০ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৩ টাকা। ফলে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৪৫০ টাকার সম্পদের কোনো গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া যায়নি।

দুদক জানিয়েছে, মামলার তদন্তে আসামিদের আরও গোপন সম্পদ ও সহযোগীদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।