বড় জয়ে বিশ্বকাপের আরও কাছে ইংল্যান্ড
মাঠে প্রতিপক্ষ ছিল সার্বিয়া, কিন্তু খেলা ছিল একপেশে। শক্তির ভারসাম্যে ছিল না কোনো তুলনা। শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে টমাস টুখেলের ইংল্যান্ড দল জানিয়ে দিল—২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিতে তারা আর বেশি দূরে নয়।
মঙ্গলবার রাতে বেলগ্রেডে হওয়া বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে স্বাগতিক সার্বিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড। পাঁচজন আলাদা খেলোয়াড়ের করা পাঁচটি গোলেই ফুটে উঠেছে তাদের দাপট। গোল করেছেন হ্যারি কেইন, ননি মাদুয়েকে, এজরি কনসা, মার্ক গেয়ি ও মার্কাস র্যাশফোর্ড।
এই জয়ের মাধ্যমে ‘কে’ গ্রুপে পাঁচ ম্যাচে পূর্ণ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আলবেনিয়ার পয়েন্ট ৮।
চার ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় সার্বিয়া, আর ৫ ম্যাচে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে লাটভিয়া। সব ম্যাচ হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রয়েছে অ্যান্ডোরা।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা সরাসরি পাবে বিশ্বকাপের টিকিট। ইংল্যান্ড এখন শুধু ৫ পয়েন্ট পেলেই তাদের অবস্থান কেউ ছুঁতে পারবে না। এমনকি গোল পার্থক্যে অনেক এগিয়ে থাকায় ৪ পয়েন্ট পেলেও তাদের চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত হতে পারে।
৩৩তম মিনিটে ইংল্যান্ডের গোল উৎসবের সূচনা করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকা ইংলিশ ফরোয়ার্ড ডিফেন্স চিড়ে সহজ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে নেন।
মাত্র দুই মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ননি মাদুয়েকে। সুনিয়ন্ত্রিত আক্রমণ থেকে পাওয়া বল নিয়ে ডান পায়ের শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।
বিরতির পরও গতি কমেনি ইংল্যান্ডের আক্রমণে। ৪৯তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন এজরি কনসা। সেট পিস থেকে ভেসে আসা বলে গোল করে আরও বড় করেন ব্যবধান। ৫২ মিনিটে গোল পান মার্ক গেয়ি, স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-০।
৭২তম মিনিটে সার্বিয়া পড়ে আরও বড় বিপদে। রক্ষণভাগের নিকোলা মিলেনকোভিচ সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকরা।
শেষ বাঁশি বাজার আগে, ৯০তম মিনিটে সফল স্পট কিকে দলের পঞ্চম গোলটি করেন মার্কাস র্যাশফোর্ড।
ইংল্যান্ড ম্যাচে বল দখলে ছিল প্রায় ৭০ শতাংশ সময়। গোলের উদ্দেশ্যে ২৪টি শট নেয় তারা, যার ১২টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, সার্বিয়ার নেওয়া মাত্র ৩টি শটের কোনোটি ছিল না লক্ষ্যে। অর্থাৎ, কাগজে-কলমে নয়, মাঠের খেলাতেই প্রমাণ হয়েছে—এই ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা একতরফাই ছিল।
টুখেলের দল যেভাবে ধারাবাহিকভাবে গোল করছে, তাতে করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা সময়ের অপেক্ষা। এখন কেবল পরের ধাপে চোখ ইংল্যান্ডের—২০২৬ বিশ্বকাপে নিজেদের অবস্থান শক্তভাবে জানান দেওয়া।