নির্বাচনে গণমাধ্যমকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হবে না

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
নির্বাচনে গণমাধ্যমকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হবে না

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে, চলাকালে এবং পরেও কোনো গণমাধ্যমকে দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া হবে না।’ গতকাল রবিবার বিকালে রাজধানীর তথ্য ভবনে ‘নির্বাচনে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময়সভায় এ কথা বলেন উপদেষ্টা। সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রকাশক, সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা অংশ নেন।

সভায় সাংবাদিকরা অতীতের দুঃসহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে নির্বাচনকালীন সময়ে সংবাদ সংগ্রহে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিশেষ গুরুত্ব দেন। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, সহিংস পরিবেশে নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, গত ১৫

বছরে গণমাধ্যম জনগণের আস্থা হারিয়েছে। সেই আস্থা পুনর্গঠনে নির্বাচনের সময় দায়িত্বশীল ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ অপরিহার্য। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। জনগণ ভোট দিতে গিয়ে সহিংসতার শিকার হবে না- সে নিশ্চয়তা সরকার দেবে।’

উপদেষ্টা আরও আহ্বান জানান যেন সহিংস কোনো ঘটনা ঘটলে গণমাধ্যম শুধু খবর প্রকাশেই সীমাবদ্ধ না থেকে তার মূল কারণ ও দায়দায়িত্ব খুঁজে বের করে জনসমক্ষে উপস্থাপন করবে।

গণমাধ্যম নীতিমালা প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের একতরফা উদ্যোগের সমালোচনা করেন তথ্য উপদেষ্টা। তার মতে, এ প্রক্রিয়ায় তথ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা না করায় স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গণমাধ্যমের লোগো ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর পেজ পরিচালনার প্রসঙ্গ টেনে মাহফুজ আলম বলেন, এটি সমাজে আস্থার সংকটের প্রতিফলন। এ ক্ষেত্রে অনলাইন সাংবাদিকদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

সভায় বক্তারা মনে করেন, নির্বাচনকালীন ও নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে গণমাধ্যমকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের মতে, সাংবাদিক সমাজ যদি নিজ অধিকারে সোচ্চার থাকে, তবে কোনো সরকারই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

সার্বিকভাবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের আশ্বাস হলো- তথ্যের অবাধ প্রবাহ, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেবে।