সিপিএলে পোলার্ডের ১৭ বলের বিধ্বংসী ফিফটি
শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন কাইরন পোলার্ড নিজেই। গায়ানার প্রয়োজন তখন ৯ রান। প্রথম দুই বলে আসে মাত্র ১ রান। মনে হচ্ছিল, হয়তো নিজের দুর্দান্ত ইনিংসের সুবিচার নিজেই করবেন। কিন্তু ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস পরিকল্পনায় বাধা হয়ে দাঁড়ালেন। তৃতীয় বলে বিশাল ছক্কা মেরে দিলেন। শেষ দুই বলে দুই সিঙ্গল—আর জয় গায়ানার, এক বল হাতে রেখেই।
অথচ ঠিক তার আগেই ব্যাট হাতে বাজিয়ে গেছেন যেন পুরনো দিনের পোলার্ড। ১৮ বলে অপরাজিত ৫৪ রান। এর মধ্যে শেষ চার বলে তুলেছেন ২০! অথচ স্ট্রাইক পেয়েছিলেন ইনিংসের শেষ ওভারে মাত্র দ্বিতীয় বলে। তবু টানা ছক্কা, বাউন্ডারি, আরেক চার—এক ঝড়ো হাফসেঞ্চুরি, যা তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এই ইনিংসটি শুধু বিধ্বংসী ছিল না, ছিল রেকর্ডগড়া। সিপিএলে পোলার্ডের দ্রুততম ফিফটি—১৭ বলে। আগেরটি ছিল ১৯ বলে, সিপিএলের আগের আসরে। আরও আগেও তার আছে ১৪, ১৭ ও ১৮ বলে ফিফটি করার নজির, তবে সেগুলো ভিন্ন টুর্নামেন্টে।
ব্যাটিংয়ে নামার সময় দল ছিল দারুণ চাপে। ত্রিনবাগোর স্কোর তখন ৯৫/৩, ১৬তম ওভার চলছিল। কেসি কার্টি 'রিটায়ার্ড আউট', ড্যারেন ব্রাভো ৩৫ বলে করেছেন মাত্র ৩৩। তখনই নামলেন পোলার্ড। প্রথমে ধীরে এগোলেও শেষদিকে বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন তিনি।
এ ইনিংসের পর চলতি সিপিএলে পোলার্ডের পরিসংখ্যানও চোখ ধাঁধানো—৮ ইনিংসে ২৯১ রান, গড় ৭২.৭৫, স্ট্রাইক রেট ১৮৫.৩৫। রানের তালিকায় আছেন চারে, কিন্তু স্ট্রাইক রেটে তিনি সবার ওপরে।
তবে দুর্দান্ত ব্যাটিং ইনিংস এবং শেষ চার ওভারে ৬৭ রান তুলেও ম্যাচটা জেতা হয়নি ত্রিনবাগোর। কারণ গায়ানার ব্যাটিং লাইনআপও ছন্দে ছিল। হোপ করেন ৫৩ (৪৬ বলে), হেটমায়ার ৪৯ (৩০ বলে)। আর প্রিটোরিয়াস করেন সেই গুরুত্বপূর্ণ ২৬ রান মাত্র ১৪ বলে, যার মধ্যে ছিল তিনটি ছক্কা।
পোলার্ডের এমন পারফরম্যান্স হয়তো ফল নির্ধারণে বড় পার্থক্য গড়তে পারেনি, কিন্তু তিনি যেন আবারও স্মরণ করিয়ে দিলেন—বয়স যতই হোক, ‘ফিনিশার’ পোলার্ডকে অবহেলা করা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।