গোল বন্যায় এস্তোনিয়াকে উড়িয়ে দিল ইতালি
প্রথমার্ধে প্রচুর আক্রমণ করেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না ইতালি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে যেন বাধা খুলে যায়—চমৎকার এক হেডে ম্যাচের গোলমুখ খোলেন ময়েজে কিন। এরপর একে একে গোল করে জয় নিশ্চিত করেন মাতেও রেতেগি, জ্যাকোমো রাসপাদোরি ও আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি।
শুক্রবার রাতে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ‘আই’ গ্রুপের ম্যাচে এস্তোনিয়াকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। নতুন কোচ জেন্নারো গাত্তুসোর অধীনে এটি ছিল তার প্রথম ম্যাচ, আর সেটা দারুণ এক জয়ে স্মরণীয় হলো।
ম্যাচে পুরো সময়ই আধিপত্য ছিল ইতালির। বল দখলে তারা এগিয়ে ছিল ৭০ শতাংশ সময়, আর গোলের জন্য নিয়েছে ৪০টি শট, যার মধ্যে ১৩টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে, এস্তোনিয়া মাত্র ৪টি শট নিতে পেরেছে, এর মধ্যে দুটি ছিল লক্ষ্যে।
এদিন শুরুর বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইতালি। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই গোলের সুযোগ আসে, কিনের ক্রসে পলিতানোর শট ব্লক করেন এস্তোনিয়ার ডিফেন্ডার। এরপর একে একে দিমার্কো, টোনালি, কালাফিওরি, কিন, ও পলিতানো শট নেন, কিন্তু গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের বাধায় গোল হয়নি।
প্রথমার্ধে সুযোগের কোনো ঘাটতি ছিল না, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট শট ও গোলরক্ষকের দক্ষতায় গোলশূন্য থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির পর ইতালি আরও আগ্রাসী হয়। শেষ পর্যন্ত ৫৮তম মিনিটে আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। দিমার্কোর ক্রসে রেতেগির ফ্লিক পাস পেয়ে কাছ থেকে হেডে গোল করেন ময়েজে কিন।
এরপরেই আরও একবার গোলের কাছাকাছি যান কিন, কিন্তু তার শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। তবে থেমে থাকেনি ইতালির আক্রমণ।
৬৯তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে অসাধারণ শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রেতেগি। তিন মিনিট পর আবারও গোল, এবার কাছ থেকে হেডে গোল করেন রাসপাদোরি।
৮৯তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন রেতেগি, আন্দ্রেয়া ক্যাম্বিয়াসোর দারুণ ক্রস থেকে জালে বল পাঠান তিনি।
ইনজুরি টাইমে রাসপাদোরির ক্রসে হেডে ম্যাচের পঞ্চম গোলটি করেন আলেস্সান্দ্রো বাস্তোনি।
এই জয়ে ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে 'আই' গ্রুপের তিন নম্বরে উঠেছে ইতালি। অন্যদিকে, ৫ ম্যাচে ১ জয় নিয়ে ৩ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চারে আছে এস্তোনিয়া।
গ্রুপের শীর্ষে আছে নরওয়ে—তারা ৪ ম্যাচে ৪ জয় নিয়ে ১২ পয়েন্টে চূড়ায়। ইসরায়েল ৪ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে দুই নম্বরে।