প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ড দলে স্পেন্স

স্পোর্টস ডেস্ক
০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:২১
শেয়ার :
প্রথম মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ইংল্যান্ড দলে স্পেন্স

ইংল্যান্ড জাতীয় ফুটবল দলে প্রথম প্রকাশ্য মুসলিম ফুটবলার হিসেবে ডাক পেয়ে ইতিহাস গড়লেন জেড স্পেন্স। টটেনহ্যাম হটস্পারের এই ডিফেন্ডার আশা করছেন, তিনি যদি দলটির হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পান, তবে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।

স্পেন্স ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে ছয়টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে সিনিয়র দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অ্যান্ডোরা এবং সার্বিয়ার বিপক্ষে খেলবে।

স্পেন্সের জন্য এটি এক অসাধারণ প্রত্যাবর্তন হিসেবে ধরা হচ্ছে। কেননা মিডলসবরো থেকে টটেনহ্যামে যোগ দেওয়ার পর তিনি ধারাবাহিকভাবে তিনটি ক্লাবে ধারে খেলেছেন—রেনে, লিডস ইউনাইটেড ও জেনোয়া। এরপর অবশেষে গত মৌসুমে স্পার্সের মূল একাদশে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করেন।

যদিও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কোনো খেলোয়াড়ের ধর্মের রেকর্ড রাখে না। তবে ধারণা করা হচ্ছে, স্পেন্স ইংল্যান্ড পুরুষ দলে খেলা প্রথম মুসলিম খেলোয়াড় হতে যাচ্ছেন।

সুযোগ পেয়ে ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার বলেন, ‘এটা এক আশীর্বাদ—একটি অবিশ্বাস্য অনুভূতি। আমি আসলেই ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কী বলব। আমি নিয়মিত নামাজ পড়ি, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময়গুলোতেও আমি সবসময় বিশ্বাস করেছি, আল্লাহ আমার পাশে ছিলেন। আমার কাছে আমার বিশ্বাসটা অনেক বড় বিষয়।’

ইংল্যান্ড শনিবার ভিলা পার্কে অ্যান্ডোরার মুখোমুখি হবে এবং এরপর মঙ্গলবার সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডে খেলবে।

স্পেন্স জানিয়েছেন, তিনি তার ধর্মের কারণে কোনো অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেন না। বরং তিনি চান তার গল্প অন্যদের শক্তি দিক।

তিনি বলেন, ‘আমি আলাদা করে কোনো চাপ অনুভব করি না। আমি শুধু হাসিমুখে ফুটবল খেলি, খুশি থাকি, আর বাকিটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।’

‘আমি যদি পারি, তাহলে তুমিও পারবে। শুধু মুসলিম বাচ্চাদের জন্য না—যেকোনো ধর্ম, যেকোনো বিশ্বাসের শিশুদের জন্য আমার বার্তা হচ্ছে, মন থেকে কিছু চাইলে, তা অর্জন করা সম্ভব।’