থ্যালাপ্যাথি পর্দা ও পর্দার বাইরের সুপারস্টার
দক্ষিণী সুপারস্টার
থ্যালাপ্যাথি বিজয় সম্প্রতি মাদুরাইয়ে নিজের রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’-এর সম্মেলনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন। মুহূর্তেই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় থ্যালাপ্যাথি বিজয়ের ভাষণ। ধারণা করা হয় বিজয়ের তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম ভারতের রাজনীতির হিসাব-নিকাশ পাল্টে দিতে পারে। আমাদের আজকের আয়োজন ভারতের নতুন দল তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে)-কে নিয়ে। ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আজহারুল ইসলাম অভি
বিজয় পরিচিতি
পুরো নাম জোসেফ বিজয় চন্দ্রশেখর। পেশাগতভাবে বিজয় নামে পরিচিত, অনেকে ইলায়াথ্যালাপ্যাথি বা থ্যালাপ্যাথি নামেও ডাকে। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেতাদের মধ্যে একজন। সাতবার ফোর্বস ইন্ডিয়ার সেলিব্রিটি ১০০ তালিকায় স্থান পেয়েছেন এই তারকা। বিজয় ১৯৭৪ সালের ২২ জুন মাদ্রাজে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা এসএ চন্দ্রশেখর একজন তামিল চলচ্চিত্র পরিচালক এবং তার মা শোভা চন্দ্রশেখর একজন প্লেব্যাক গায়িকা এবং কর্নাটিক কণ্ঠশিল্পী। তার বাবা খ্রিস্টান ভেল্লালার বংশোদ্ভূত এবং তার মা একজন হিন্দু। বিজয়ের একটি বোন ছিল বিদ্যা, যিনি মাত্র দুই বছর বয়সে মারা যান।
রাজনৈতিক দল নিয়ে ভাবনা
বেশ অনেকদিন ধরেই রাজনৈতিক অঙ্গনে লড়াইয়ের কথা শোনা যাচ্ছিল দক্ষিণী সিনেমার নায়ক থালাপতি বিজয়ের। শুধু তা-ই নয়, তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠনের কথাও বলেছিলেন। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লোকসভা নির্বাচনের আগেই বড়পর্দা ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছেন থালাপতি বিজয়। সেটিও প্রায় বছরখানেক আগের কথা। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ঘোষণা করেছেন দলের নাম। ভারতের জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের দলের নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছেন বলে শোনা যায়। থালাপতি বিজয় জানান, তার রাজনৈতিক দলের নাম, ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’। বাংলায় এর অর্থ দাঁড়ায়, ‘তামিলনাড়ু ভিক্টর পার্টি’। আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য এবং নির্বাচনে জিতে স্থানীয় মানুষদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন থালাপতি বিজয়। বিজয়ের আগেও দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে অনেকেই চলচ্চিত্রের জগৎ থেকে রাজনীতির মাঠে এসেছেন। এ ঘটনার সর্বপ্রথম উদাহরণ জয়ললিতা। তারপর কমল হাসন, রজনীকান্তও রাজনীতিতে এসেছেন। তাদেরই পথ অনুসরণ করে চেন্নাইয়ে সাংগঠনিক বদল আনতে চান বিজয়।
একনজরে তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম
দলের নাম : টিভিকে
রাষ্ট্রপতি (দলের প্রধানকে রাষ্ট্রপতি বলা হয়) : বিজয়
আরও পড়ুন:
জলবায়ু সম্মেলনের আদ্যোপান্ত
সাধারণ সম্পাদক : এন. আনন্দ
কোষাধ্যক্ষ : পি. ভেঙ্কটরমন
প্রতিষ্ঠাতা : বিজয়
প্রতিষ্ঠিত : ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
সদর দপ্তর : ২৭৫, সিশোর টাউন, ৮ম অ্যাভিনিউ, পানাইয়ুর, ইস্ট কোস্ট রোড, চেন্নাই-৬০০১১৯, তামিলনাড়ু, ভারত
সদস্যপদ : ১ কোটি ৫০ লাখের বেশি
মতাদর্শ : সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমতাবাদ, আম্বেদকরবাদ, পেরিয়ারবাদ, মার্কসবাদ
স্লোগান : পিরাপ্পোক্কুম এল্লা উইরক্কুম (জন্মগতভাবে সবাই সমান)
আরও পড়ুন:
এবারের সম্মেলনে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়
ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমা
দক্ষিণী সুপারস্টার থ্যালাপ্যাথি বিজয় ক্যারিয়ারের শেষ সিনেমার নাম ঘোষণা করেছেন। তার ৬৯তম সিনেমার নাম দেওয়া হয়েছে ‘জন নায়ক’। গুঞ্জন আছে, এই সিনেমার জন্য ২৭৫ কোটি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন থালাপতি বিজয়; যার ফলে শাহরুখ খান, সালমান খান, প্রভাস কিংবা রজনীকান্তকে পেছনে ফেলে এই মুহূর্তে ভারতীয় সিনেমার সবচেয়ে ‘দামি’ তারকা তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে, এরপর বিজয় পুরোদমে রাজনীতিতে সময় দেবেন। ইতোমধ্যে নিজের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ করেছেন এই সুপারস্টার। ভারতের লোকসভা ভোটের শুরুর দিকে বিজয় ঘোষণা দিয়েছেন তার রাজনৈতিক দলের নাম। এইচ বিনোদ পরিচালিত ‘জন নায়ক’ সিনেমায় বিজয়কে দেখা যাবে একজন রাজনৈতিক নেতার চরিত্রে। থালাপতি বিজয় এক্স হ্যান্ডলে ‘জন নায়ক’ সিনেমার ফার্স্ট লুক শেয়ার করেছেন। ২০২৬ সালের ৯ জানুয়ারি ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
এনডিএ ও বিজেপি যে কারণে থ্যালাপ্যাথিকে দলে টানতে আগ্রহী
দক্ষিণের জনপ্রিয় সুপারস্টার বিজয়ের রাজনৈতিক উত্থানের পেছনে তার অর্থশক্তির বড় ভূমিকা রয়েছে। ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী, তার সম্পদের পরিমাণ ৪০০ কোটি রুপিরও বেশি ছিল, যা রজনীকান্তের তুলনায় কিছুটা কম হলেও কমল হাসানের চেয়ে বেশি। তামিলনাড়ুর তারকাদের মধ্যে অর্থবিত্তের এক নীরব প্রতিযোগিতা চলছে, যেখানে বিজয় বর্তমানে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন। ২০২৩-২৪ সালে বিজয় ৮০ কোটি রুপি কর দিয়ে শীর্ষ করদাতা তারকাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। তার সাম্প্রতিক সিনেমা দ্য গ্রেটেস্ট অব অল টাইম তামিলনাড়ুতে প্রথম সপ্তাহেই ১৭৮ কোটি রুপির ব্যবসা করে। লিও সিনেমা থেকে তিনি ১৩০ কোটি রুপি এবং জন নায়ক সিনেমা থেকে ২৭৫ কোটি রুপি সম্মানী নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন, যা তার ৬৯তম সিনেমা। এই আয়গুলো তার সম্পদকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এমন অর্থবিত্ত নিয়ে তামিলনাড়ুর নির্বাচনী ময়দানে নামলে সাধারণ রাজনীতিবিদদের পক্ষে বিজয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মাদুরাইয়ের নিম্নবিত্ত বামপন্থিদের জন্য তাকে ঠেকানো বড় চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়ই বিজয়কে নিজেদের জোটে টানতে আগ্রহী। কংগ্রেস তাকে এনডিএ জোটে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, দাবি করে যে বিজয় যদি বিজেপিকে ‘আদর্শিক শত্রু’ মনে করেন, তবে কংগ্রেসই তার স্বাভাবিক মিত্র। অন্যদিকে অমিত শাহ জানিয়েছেন, বিজয় আগ্রহ দেখালে বিজেপি তার দল টিভিকের সঙ্গে জোটবন্ধনে প্রস্তুত। তবে বিজয় এখনও এনডিএ ও বিজেপির কিছু নীতির সমালোচনা করে স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি বজায় রেখেছেন।
ভাবাদর্শিক শত্রু
দক্ষিণী সুপারস্টার থালাপতি বিজয় সম্প্রতি মাদুরাইয়ে নিজের রাজনৈতিক দল ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’-এর সম্মেলনে দাঁড়িয়ে ঝড় তুলেছেন। সেদিন থালাপতি বলেছেন, বিজেপি তার ‘ভাবাদর্শিক শত্রু’। আর ‘রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী’ হলো ডিএমকে দল। তিনি সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপিকে ‘ফ্যাসিবাদী’ আখ্যা দিয়ে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, এ লড়াই আর শুধু রাজনীতির লড়াই নয়, বরং আদর্শের যুদ্ধ। বিজয়ের ভাষায়, বিজেপি একদিকে ধর্মকে ব্যবহার করছে বিভাজনের হাতিয়ার হিসেবে, অন্যদিকে গণতন্ত্রকে দুর্বল করে দিচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে বিজেপি তার কাছে সবচেয়ে বড় আদর্শগত শত্রু। বিজেপির পাশাপাশি বিজয় ডিএমকে-কে রাজনৈতিক শত্রু হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। তবে তিনি স্পষ্ট করেছেন, ডিএমকের সঙ্গে তার লড়াই রাজনীতির ময়দানে সীমাবদ্ধ, কিন্তু বিজেপির সঙ্গে সংঘাত একেবারে আদর্শিক স্তরে। তার দলের নীতিÑ সমাজে সমতা, মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারÑ যা বিজেপির ধ্যান-ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত। ২০২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই বিজয়ের দল তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে দ্রুত পা জমিয়েছে। কোটি কোটি তরুণের সমর্থন তার সঙ্গে। মাদুরাইয়ের সভায় তিনি যে স্পষ্ট ও কঠোর ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেছেন, তা মুহূর্তেই সাড়া ফেলে দিয়েছে রাজনীতির মাঠে। সভায় উপস্থিত ভক্ত-সমর্থকদের করতালি আর উল্লাসে বক্তৃতার প্রতিটি বাক্য যেন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে।
জনপ্রিয়তা বাড়াতে রোজা রেখেছিলেন
এবার পবিত্র রমজানে চেন্নাইতে একটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেন দক্ষিণ ভারতের তামিল ছবির সুপারস্টার ও রাজনীতিবিদ থালাপতি বিজয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানা যায়, থালাপতি বিজয়ের আমন্ত্রণে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং চলচ্চিত্র জগতের বেশকিছু পরিচিত মুখ ইফতারে অংশ নিয়েছিলেন। এ ছাড়া চেন্নাইয়ের ১৫টি মসজিদের ইমামরাও আমন্ত্রিত ছিলেন ওই ইফতারে। প্রায় তিন হাজার মানুষের আয়োজন রাখা হয়েছিল ইফতারে। জানা গেছে, শুক্রবার সারাদিন রোজাও রেখেছিলেন দক্ষিণ ভারতের সুপারস্টার বিজয়। বিজয় সবাইকে ‘ভ্রাতৃত্ববোধ’ দেখানোর জন্য এবং তার আমন্ত্রণে ইফতারে উপস্থিত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান। চেন্নাইয়ের রোয়াপেট্টাহ ওয়াইএমসিএ মাঠে আয়োজিত এই ইফতারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে অভিনেতাকেও অনেক প্রাণোচ্ছল বলে মনে হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
তাপমাত্রা যখন সর্বনিম্ন!
তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম
দক্ষিণী সিনেমার নায়ক থালাপতি বিজয় ভারতবর্ষে ব্যাপক জনপ্রিয়। ২০০০ সালের শুরুর দিকে বিজয়ের তামিলনাড়ুজুড়ে ফ্যান ক্লাবের একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ছিল। ২০০৯ সালের দিকে এই ফ্যান ক্লাবগুলোকে একটি কাঠামোগত কল্যাণ সমিতির অধীনে একত্রিত করা হয়েছিল, যার লক্ষ্য ছিল জনহিতকর এবং সেবামূলক কার্যক্রম সংগঠিত করা। ২৬ জুলাই ২০০৯ তারিখে এই উদ্যোগটি পুদুক্কোত্তাইতে (পুদুক্কোত্তাই হলো ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের পুদুক্কোত্তাই জেলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর। এটি ভেলার নদীর তীরে অবস্থিত প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী শহরগুলোর মধ্যে একটি) ‘বিজয় মাক্কাল আইয়াক্কম’ (আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ের জন-আন্দোলন) নামে চালু করা হয়েছিল।
২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আইয়াক্কম এআইএডিএমকে নেতৃত্বাধীন জোটকে সমর্থন করেছিল। বছরের পর বছর ধরে সংগঠনটি একটি রাজনৈতিক অবস্থান বজায় রাখলেও বিজয় তার চলচ্চিত্রে এবং জনসাধারণের উপস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে অনুরণিত বক্তব্য দেওয়ার কারণে এটি মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করে। ২০২১ সালের অক্টোবরে, সংগঠনটি তামিলনাড়ুর স্থানীয় সংস্থা নির্বাচনে স্বাধীনভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং ১৬৯টি আসনের মধ্যে ১১৫টিতে জয়লাভ করে।
২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে বিজয় তার রাজনৈতিক দল, তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে) প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন এবং ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বছরের পর বছর ধরে তামিলনাড়ুজুড়ে বিজয়ের প্রায় ৮৫,০০০ ফ্যান ক্লাব একটি নিবন্ধিত কল্যাণ সংস্থা বিজয় মাক্কাল ইয়াক্কামের অধীনে সংগঠিত হয়েছিল। এই ফ্যান ক্লাবগুলো এখন টিভিকে-র তৃণমূল কাঠামোর মেরুদণ্ড গঠনকারী একটি রাজনৈতিক শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
বিজয়ের বিরুদ্ধে মামলা
থালাপতি বিজয়ের বিরুদ্ধে হয়েছে ফৌজদারি মামলা। ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর পেরাম্বালুর জেলার কুন্নাম থানায়। রাজনৈতিক সমাবেশে বিজয়ের ব্যক্তিগত দেহরক্ষীরা এক ভক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন শরৎকুমার নামের এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়েছে থালাপতি বিজয় ও তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে। গত ২১ আগস্ট মাদুরাই জেলার পারাপাথিতে তামিলাগা ভেটরি কাজাগামের জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন সুপারস্টার বিজয়। তাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ। উৎসাহী কয়েকজন র্যাম্পে উঠে পড়েন। তাদের ধাক্কা দিয়ে র্যাম্প থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজয়ের দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর পেরামবালুর জেলার পুলিশ সুপারের দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেন শরৎকুমার। তার অভিযোগ, বিজয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে জনসভার সময় মঞ্চ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির তিনটি ভিন্নধারায় এই মামলা রুজু করা হয়েছে। যদিও বিজয়পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।