ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু আজ, সাক্ষ্য দেবেন তার বাবা
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার বিচার শুরু হয়েছে। মামলাটি চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ। গতকাল বুধবার চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ মামলার সূচনা বক্তব্য দেন। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ বিচার পরিচালনা করছেন।
বক্তব্যের পর ট্রাইব্যুনালে দুটি ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়। এতে দেখা যায়, নিরস্ত্র আবু সাঈদকে গুলি করা হচ্ছে। ভিডিও দেখে ট্রাইব্যুনালে বসে চোখ মুছতে থাকেন তার বাবা মকবুল হোসেন। এরপর প্রসিকিউশনের আবেদনে আজ বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়। প্রথম সাক্ষ্য দেবেন আবু সাঈদের বাবা।
গত ৩০ জুলাই প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ গঠনের আবেদন করা হয়। আসামি পক্ষ থেকে অব্যাহতির আবেদন করা হয়েছিল। পরে গত ৬ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের দিন ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
এই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে গ্রেপ্তার ৬ আসামিকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, সাবেক সহকারী রেজিস্ট্রার রাফিউল হাসান রাসেল, রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক সাবেক কর্মচারী মো. আনোয়ার পারভেজ, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।
গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ। তিনি ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। বয়স ছিল ২৫ বছর। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কও ছিলেন। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যুর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারাদেশে প্রতিবাদ শুরু হয়। আন্দোলন আরও বেগবান হয়। এর ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছর ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
এদিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুরে গত বছরের ২০ জুলাই তিন আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের দুই সাবেক সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। তারা হলেন- সাবেক এসআই শফিকুল আলম ও সাবেক এএসআই দেলোয়ার হোসেন। তারা অন্য মামলায় আগে থেকেই গ্রেপ্তার ছিলেন। গতকাল তাদের আদালতে হাজির করা হলে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল।