গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স /

সার্জারি-এক্সরে-অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগী

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
২৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২২
শেয়ার :
সার্জারি-এক্সরে-অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগী

নাটোরের গুরুদাসপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকট, যন্ত্রপাতির ত্রুটি ও অব্যবস্থাপনার কারণে স্বাস্থ্যসেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ১টি পৌরসভা ও ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। অথচ জরুরি সার্জারি থেকে শুরু করে অ্যাম্বুলেন্স সেবা পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন রোগীরা। 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ২৮টি চিকিৎসক পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন। এর মধ্যে ৩ জন রয়েছেন ডেপুটেশনে। কার্যত ১৭ জন চিকিৎসকের ওপরই পুরো উপজেলা হাসপাতালের দায়িত্ব পড়েছে। এদিকে নার্সিং বিভাগের ৩৯টি পদের মধ্যে কর্মরত আছেন ৩৮ জন। অথচ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে নেই কোনো সার্জন, অর্থোপেডিক্স বিশেষজ্ঞ কিংবা যৌন ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। সেই সঙ্গে এনেসথেশিয়া ডাক্তারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে সার্জারি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। 

এছাড়া হাসপাতালের একমাত্র এক্সরে মেশিন বহুদিন ধরে বিকল অবস্থায় পড়ে আছে। তেলের সংকটে গত ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স সেবা। যদিও ইসিজি পরীক্ষাসহ কিছু সীমিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালু রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ না থাকায় রোগীদের অনেক সময় বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হচ্ছে। 

এদিকে হাসপাতালের ভেতরের পরিবেশ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। দুর্গন্ধযুক্ত টয়লেট, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবে প্রতিনিয়ত তারা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল অন্ধকারে ডুবে থাকে। এতে রোগীদের দুর্দশা আরও বেড়ে যায়।

চিকিৎসা নিতে আসা আসমা বেগম, রুপালি খাতুন, রোজিনা বেগম, সুরুজ মিয়া, নজরুলসহ অনেকে বলেন, ‘কারেন্ট না থাকায় অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। গরমে রোগীরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেক রিপোর্ট বাইরে থেকে করাতে হয়।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমাস বলেন, ‘আমরা সীমিত জনবল ও সুযোগ-সুবিধা নিয়েই সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। ইতোমধ্যে শূন্য পদ পূরণ ও বিকল যন্ত্রপাতি সচল করার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।’