আবেদনের আগে জানা দরকার
উচ্চশিক্ষার গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র
উচ্চশিক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে সব শিক্ষার্থীর কাছে। ইংরেজি ভাষার দেশ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা এবং ক্যারিয়ারÑ সবকিছুই একসঙ্গে চিন্তা করতে পারছে আধুনিক এই দেশটিতে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদনের প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে দূতাবাসে সাক্ষাৎ পর্যন্ত একটা দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয় বলে অনেক শিক্ষার্থীকে প্রতিবন্ধকতায়ও পড়তে হয়। এ ক্ষেত্রে এই দীর্ঘ যাত্রা সহজ করে দিতে পারে সুসংগঠিত পূর্বপ্রস্তুতি। বিস্তারিত তুলে ধরা হলো-
প্রস্তুতি : প্রায় পাঁচ হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আগে নির্বাচন করতে হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোন প্রোগ্রামে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে চান। সেই প্রোগ্রাম সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং এর রিকোয়ারমেন্টসহ সবকিছু সংগ্রহ করতে হবে। উল্লেখ্য, আমেরিকার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ববর্তী পড়াশোনার ডকুমেন্টসের অ্যাটাস্টেট/নোটারি লাগে না।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভিশনাল সার্টিফিকেট দিয়ে আবেদন করা যায়।
আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস, যেমন- একাডেমিক ডকুমেন্টস (সার্টিফিকেট+ট্রান্সক্রিপ্ট), ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি, পাসপোর্ট, SOP এবং রিকমেন্ডেশন লেটার লাগে।
ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি : ইংরেজি ভাষার দেশ হওয়ায় অবশ্যই যে কোনো একটা নির্দিষ্ট ইংলিশ প্রফিসিয়েন্সি নির্দিষ্ট স্কোরসহ লাগবে; যেমন- IELTS , TOEFL, PTE, ITEP, Duolingo, MOI, Entrees Exam.
SOP এবং Recommendation Latter অফারলেটার পাওয়ার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবমিট করতে হবে।
SOP (Statement Of Purpose) : সাধারণত তিনটি বিষয় মাথায় রেখে ঝঙচ লিখলেই হয়, যেমন- এই ইউনিভার্সিটি কেন? এই সাবজেক্ট কেন পছন্দ করা হয়েছে এবং প্রোগ্রাম শেষ করার পর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী।
আরও পড়ুন:
পাঠাগার গড়া যাদের স্বপ্ন ছিল
Recommendation Latter :প্রিভিয়াস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে রিকমেন্ডেশন লেটার সংগ্রহ করতে হবে।
টিউশন ফি এবং স্কলারশিপ : যুক্তরাষ্ট্রে অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে ২টি সেমিস্টার, আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে তিনটি পর্যন্ত সেমিস্টার হয়। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথম সারির এই দেশটিতে টিউশন ফি বছরে সাত হাজার ডলার থেকে ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল অনুযায়ী ফুল ফান্ডিং অথবা ভালো স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। স্কলারশিপ পাওয়ার পর একজন শিক্ষার্থীর টিউশন ফি অনেকটাই কমে যায়, যা চেষ্টা করলে একজন শিক্ষার্থী সেখানে পার্ট টাইম জব করে নিজের খরচ অনেকটা নিজেই বহন করতে পারে।
STEM (Science, Technology, Engineering, Mathematics) প্রোগ্রামের আওতায় কোনো শিক্ষার্থী ব্যাচেলর অথবা মাস্টার্স সম্পন্ন করার পরে CPT/OPT অনুযায়ী কাজ করতে পারে, যেটা পরবর্তীতে Employment Based ক্যাটাগরিতে কনভার্ট হতে অনেক সহায়ক হয়। তবে PhD-এর জন্য ন্যূনতম দুটি পাবলিকেশন এবং ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকলে ইউনিভার্সিটি টিচারদের সঙ্গে কমিউনিকেশন করে ফুল ফান্ডও পাওয়া যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জনপ্রিয় প্রোগ্রাম :
# Computer Science (CS)
# Engineering
আরও পড়ুন:
বৈষম্য ঘোচানোই সত্যিকার মানবিক অর্জন
# Business & Management (MBA)
# Data Science & Analytics
# Health & Public Health
# Biological & Biomedical Sciences
# Psychology
# Law (JD, LLM)
আরও পড়ুন:
ইবিতে শীতের আগমনী বার্তা
# TESOL, Educational Leadership
দূতাবাসে সাক্ষাৎ : অধিকসংখ্যক আবেদনকারীর জন্য অধিকাংশ সময়ে দূতাবাসের সাক্ষাতের স্লট অনেক দীর্ঘ হয়ে থাকে। এটা অনেকটা ভোগান্তির। তবে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রি-শিডিউলের মাধ্যমে দূতাবাসের সাক্ষাৎ সময় এগিয়ে আনা সম্ভব। দূতাবাসের সাক্ষাতের সময় সুন্দর, পরিপাটি এবং অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে থাকতে হবে, এতে করে ভিসাপ্রাপ্তির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
সিইও, ঢাকা এডুকেশন