ত্রিনবাগোতে সেঞ্চুরি করে মানরোর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

স্পোর্টস ডেস্ক
১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২৮
শেয়ার :
ত্রিনবাগোতে সেঞ্চুরি করে মানরোর রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

প্রিয় দল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সে ফিরে নিজের সামর্থ্যের ঝলক দেখালেন কলিন মানরো। ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টসের বিপক্ষে তার ব্যাট থেকে এল রেকর্ডগড়া এক ইনিংস—৫৭ বলে ১২০ রান। তার দুর্দান্ত সেই সেঞ্চুরির সুবাদেই ১২ রানে জয় পেয়েছে ত্রিনবাগো।

সিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল বিদেশি ব্যাটসম্যান মানরো, আর ত্রিনবাগোর হয়ে তো তিনিই সবচেয়ে সফল। তবে গত আসরে ছিলেন সেন্ট লুসিয়া কিংসে। এবার আবার ফিরে এলেন পুরনো ঘরে—ত্রিনবাগোতে। আর ফিরেই যেন জানিয়ে দিলেন, এই মঞ্চ এখনও তারই।

মানরোর ৫৭ বলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৪ চার ও ৬ ছক্কায়। যা ত্রিনবাগোর ইতিহাসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোর—পেছনে ফেললেন নিকোলাস পুরানের আগের রেকর্ড ১০২ রানকে। মাত্র ২১ বলে ফিফটি করার পর ৫০ বলে ছুঁলেন সেঞ্চুরি, শেষ দিকে আরও ঝড় তুলে থামলেন ১২০ রানে।

৯৭ রানে থাকা অবস্থায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাসিম শাহকে মাথার ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কায়। মাইলফলক স্পর্শ করার পরের দুই বলেও হাঁকালেন বাউন্ডারি, বাড়ালেন রানের পাহাড়।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ত্রিনবাগো শক্ত ভিত পায় মানরো ও অ্যালেক্স হেলসের উদ্বোধনী জুটিতে। ৯ ওভারেই ১১৪ রান তুলে ফেলেন তারা। হেলস ২৭ বলে করেন ৪৭ রান। যদিও নিকোলাস পুরান (১৩ বলে ১১) ও কাইরন পোলার্ড (১৩ বলে ১৯) বড় কিছু করতে পারেননি। ২০ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ২৩১ রান।

রান তাড়ায় সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসও কম যায়নি। যদিও শেষ পর্যন্ত হেরে যায় ১২ রানে, তবু সিপিএলের ইতিহাসে ফিফটি ছাড়া সবচেয়ে বড় দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে তারা।

কাইল মেয়ার্স ও আন্দ্রে ফ্লেচার উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করেন ৪৫ বলে ৮০ রান। মেয়ার্স করেন ২২ বলে ৩২, ফ্লেচার ২৬ বলে ৪১। রাইলি রুশো ২৪ বলে করেন ৩৮।

শেষ দিকে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার খেলেন ২২ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস, মারেন তিনটি করে চার ও ছক্কা।

১৯ ওভার শেষে সেন্ট কিটসের রান ছিল ১৮৯। শেষ ওভারে আসে অবিশ্বাস্য ৩০ রান! ওভারের দ্বিতীয় বলে নাসিম শাহ মারেন ছক্কা, এরপর একটি ‘ওয়াইড বাই’ থেকে আসে ৫ রান। বোলার টেরেন্স হাইন্ডস চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন, তার বদলে বল হাতে নেন মানরো নিজেই।

প্রথম বলেই দেন ‘নো’ বল। এরপরের দুই বলে নাসিম মারেন চার ও ছক্কা। শেষ বলে ডমিনিক ড্রেকস হাঁকান ছক্কা। তবে এই ব্যতিক্রমী ওভারও ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেনি।

ত্রিনবাগোর অফ স্পিনার ইসমান তারিক ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। ব্যাটে ঝড় তোলা মানরো ম্যাচসেরা তো বটেই, আবার আলোচনার কেন্দ্রেও।

সিপিএলের ইতিহাসে তার এটি ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি, আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া মিলিয়ে। ত্রিনবাগোর হয়ে দুটি সেঞ্চুরি করে ছুঁয়ে ফেলেছেন পুরানকেও।

এই ইনিংস যেন প্রমাণ করল—কলিন মানরো এখনও টি-টোয়েন্টি মঞ্চের দুর্দান্ত এক পারফর্মার।