৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নেইমার
নেইমারকে ফুটবল দুনিয়া বহুবার চোটে পড়ে কাঁদতে দেখেছে। তবে এবার তার চোখের জল ছিল ভিন্ন কারণে—মাঠে বিধ্বংসী এক পরাজয়ের যন্ত্রণা থেকে! ব্রাজিলিয়ান সেরি ‘আ’র ইতিহাসে সান্তোসের অন্যতম বড় হার, আর নেইমারের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বিব্রতকর ফল।
রবিবার রাতে ঘরের মাঠে ভাস্কো দা গামার বিপক্ষে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত হয় সান্তোস। ম্যাচ শেষে মাঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নেইমার। মুখ গুঁজে বসে পড়েন মাঠে, সতীর্থদের সান্ত্বনাও ফিরিয়ে দেন হতাশায়।
চমকপ্রদ ব্যাপার হলো, ভাস্কো দা গামাও খুব একটা ভালো অবস্থায় ছিল না। ১৭ ম্যাচে মাত্র ৪ জয়ে পয়েন্ট ছিল ১৬। সেই দলই সান্তোসকে প্রথমে চুপ করায়, এরপর গুঁড়িয়ে দেয়।
প্রথমার্ধে একমাত্র গোল করে এগিয়ে ছিল ভাস্কো। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে মাত্র ১৬ মিনিটের মধ্যে আরও ৫ গোল করে সান্তোসকে কার্যত ভেঙে ফেলে তারা।
দলের হয়ে জোড়া গোল করেন ফিলিপে কৌতিনিয়ো। বার্সেলোনা, লিভারপুল, বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে খেলা এই অভিজ্ঞ তারকা সম্প্রতি ফিরে এসেছেন নিজের শৈশবের ক্লাব ভাস্কোতে।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে হতাশায় ডুবে যায় পুরো সান্তোস দল। গ্যালারিতে ভেসে আসে দর্শকদের দুয়ো, আর উল্টো দিক থেকে আনন্দের উৎসবে মেতে ওঠে ভাস্কো সমর্থকরা।
মাঠে বসে কাঁদতে দেখা যায় নেইমারকে। সতীর্থ ও প্রতিপক্ষরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি তখন ছিলেন ভীষণ ক্ষুব্ধ।
পরে সাংবাদিকদের সামনে এসে স্পষ্ট ও আবেগঘন প্রতিক্রিয়ায় নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন নেইমার, ‘আমি লজ্জিত। এমন পারফরম্যান্সে সমর্থকদের রাগ, অভিশাপ—সবই প্রাপ্য আমাদের। তারা যা খুশি বলতেই পারে, সহিংসতা ছাড়া।’
নিজের কান্নার কারণ জানিয়ে নেইমার বলেন, ‘**"জীবনে এমন কিছু কখনও দেখিনি। এমন অভিজ্ঞতা হয়নি। ওই কান্না রাগ আর অপার হতাশা থেকে এসেছে। আমি তো একা সবকিছু করতে পারি না। সত্যি বলতে এটা ছিল চূড়ান্ত **।’
এই লজ্জার পরাজয়ের পর ক্লাব কোচ ক্লেবের শাভিয়েরকে বরখাস্ত করেছে সান্তোস। লিগে ১৯ ম্যাচ শেষে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দলটি আছে ১৫তম স্থানে।
নেইমার ও সান্তোসের জন্য এটি ছিল এক সন্ধ্যা, যা তারা সম্ভব হলে ভুলে যেতে চাইবে।