শেবাগের পর ধোনিকে লক্ষ্য করে ‘বোমা ছুড়লেন’ ইরফান
সম্প্রতি ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে দল থেকে বাদ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন সাবেক বীরেন্দর শেবাগ। এবার একই ধরনের অভিযোগ আনলেন দেশটির সাবেক অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান। ভালো পারফর্ম করা সত্ত্বেও কীভাবে অধিনায়ক ধোনি দল থেকে বের করে দিয়েছিলেন, তার বর্ণনাই দিয়েছেন ইরফান।
২০০৩ সালে ১৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রথমবারের মতো পা রাখেন ইরফান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল তার। সুইং ও লাইন-লেন্থের জন্য তখন খ্যাতি পেয়েছিলেন এই পেসার। তাছাড়া তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংও ছিল কার্যকরী। ধোনির নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ী দলের অংশ ছিলেন ইরফান।
নিজেদের তখনকার পারফরম্যান্সের কথা উল্লেখ করে ইরফান বলেছেন, ‘২০০৯ সালের কথা, যখন আমরা নিউজিল্যান্ডে ছিলাম। তার আগে আমার ভাই (ইউসুফ পাঠান) এবং আমি শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ জিতেছিলাম। যে পরিস্থিতিতে আমরা জয় এনে দিয়েছিলাম - যদি আমাদের জায়গায় অন্য কেউ থাকত, তাহলে তাদের এক বছরের জন্য বাদ দেওয়া হত না। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেই ম্যাচে আমাদের মাত্র ২৭-২৮ বলে ৬০ রানের প্রয়োজন ছিল, এবং আমরা সেখান থেকে জিতেছিলাম।’
২০০৯ সালেই নিউজিল্যান্ড সফরে ৫ ওয়ানডের ৪টিতেই বসিয়ে রাখা হয় ইরফানকে। আরেকটি ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ছিলেন না টেস্ট স্কোয়াডেও। কেবল দুইটি টি-টোয়েন্টি খেলেন তিনি। ইরফান বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে প্রথম ম্যাচ, দ্বিতীয় ম্যাচ এবং তৃতীয় ম্যাচেও আমাকে বেঞ্চে রাখা হয়েছিল। চতুর্থ ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে ড্র হয়েছিল। আমি শেষ ম্যাচেও ছিলাম না। তারপর আমি গ্যারি (কারস্টেন) স্যারকে জিজ্ঞাসা করি কেন আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যদি আমার কিছু উন্নতি করার প্রয়োজন থাকে, তাহলে তিনি আমাকে বলতে পারেন, তবে আমি জানতে চেয়েছিলাম কেন আমাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।’
কারস্টেন ইরফানকে বাদ দেওয়ার দুইটি কারণ বলেছিলেন, ‘কারস্টেন আমাকে দুইটি কারণ বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এমন কিছু জিনিস আছে যা আমার হাতে নেই।’’ গ্যারির কথাগুলোই ঠিক ছিল। আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম এটা কার হাতে, কিন্তু তিনি আমাকে বলেননি। আমি ইতিমধ্যেই জানতাম এটা কার হাতে। প্লেয়িং ইলেভেন ঠিক করা হয় অধিনায়কের পছন্দের ওপর। সিদ্ধান্ত নির্ভর করে অধিনায়ক, কোচ এবং ম্যানেজমেন্টের ওপর। ধোনি তখন অধিনায়ক ছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক না ভুল তা নিয়ে আমি কিছু বলব না, কারণ প্রতিটি অধিনায়কের নিজস্ব উপায়ে দল পরিচালনা করার অধিকার আছে।’
কারস্টেনের দ্বিতীয় কারণ নিয়ে ইরফান বলেন, ‘তার দ্বিতীয় উত্তর ছিল যে তারা ৭ নম্বরে একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার খুঁজছিল। একদম সাফ কথা- আমার ভাই একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার ছিলেন, আর আমি একজন বোলিং অলরাউন্ডার। দুজন একে অপরের থেকে আলাদা ছিলাম, কিন্তু দলে কেবল একজনের জন্যই জায়গা ছিল। আজকাল, যদি আপনি জিজ্ঞাসা করেন যে দুজন অলরাউন্ডারের প্রয়োজন কি না, তাহলে মানুষ আনন্দের সাথে উভয়কেই গ্রহণ করবে।’