নলকূপের ঘরে হাত-পা বাঁধা নৈশ প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
১৫ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২০
শেয়ার :
নলকূপের ঘরে হাত-পা বাঁধা নৈশ প্রহরীর মরদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার কলিঙ্গা ফসলি মাঠে গভীর নলকূপের নৈশ প্রহরী আবু সাঈদকে (৬৪) হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। 

আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, নিহত ব্যক্তি ক্ষেতলাল উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের বেলগাড়ী গ্রামের মৃত রিয়াজ ফকিরের ছেলে। আবু সাঈদ ফকিরের স্ত্রী ৫ বছর আগে মারা গেছেন। তার সংসার জুড়ে শুধুমাত্র ২ মেয়ে সন্তান রয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রতি রাতের মতো গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে রাতের খাবার খেয়ে পার্শ্ববর্তী কলিঙ্গা গ্রামের নুর মোহাম্মদের গভীর নলকূপ কলিঙ্গা ফসলি মাঠে পাহারা দিতে যান। রাতের ডিউটি শেষে প্রতিদিন সকাল বেলা জামাইয়ের মুরগির সেডে মুরগিকে খাবার দেন তিনি। 

শুক্রবার সকালে শশুর খামারে খাবার না দিলে জামাই শশুরকে খোঁজ করে বাড়িতে পাননি। পরে মাঠের মধ্যে গভীর নলকুপে গিয়ে দেখতে পান ঘরের মধ্যে হাত-পা বাঁধা গলাকাটা মরদেহ পড়ে আছে। সেখান থেকে চিল্লাচিল্লি করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন এবং পুলিশে খবর দেন। 

পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

জানা যায়, নিহত আবু সাঈদের ছোট মেয়ে স্বামী ঘর জামাই গোফফার হোসেন ফকির বলেন, ‘তার শশুর একজন ভাল মানুষ। প্রায় ২২ বছর ধরে কলিঙ্গা মাঠে একটি গভীর নলকূপের পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। প্রতি রাতের মতো বৃহস্পতিবার রাতেও খাবার খেয়ে পাহারা দিতে চলে যান। ভোরে ফিরে মুরগির খামারে খাবার দেন। আজ সকালে বেলা হলেও তিনি যখন খামারে খাবার দেননি, তখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তিনি বাড়ি ফিরেননি। তখন দ্রুত মাঠে গিয়ে দেখতে পাই, ডিপ টিউবওয়েলের ঘরের মধ্যে হাত পা বাঁধা গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে। ঘর থেকে বেরিয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে পুলিশকে খবর দেন। আমার ধারণা, নলকূপের বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করতে এসে তারা নৃশংসভাবে আমার শশুরকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চাই।’

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। মরদেহের প্রথম রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়ে দেই। এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এখন এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি।’