‘সব দেশের টেস্ট খেলার দরকার নেই’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও টড গ্রিনবার্গ মনে করেন, আর্থিক কারণে সব দেশের টেস্ট খেলার আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত নয়। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেটে অভাব আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু।’
২০২৪-২৫ মৌসুমে রেকর্ড গড়া বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির আয়োজন করা অস্ট্রেলিয়া এই বছরের শেষের দিকে ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজের জন্য আতিথ্য দেবে। এই মাসের শুরুতে, ভারত এবং ইংল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে, এটিও ছিল দারুণ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। যেখানে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে একতরফা জয় পেয়েছে। যার ফলাফল- লাল বলের ক্রিকেটের বৈশ্বিক কাঠামো ও ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক আরও বেড়েছে।
গ্রিনবার্গ বলেন, ‘আমি মনে করি না (টেস্ট খেলুড়ে দেশের) সঠিক সংখ্যা আছে ... তবে আমি মনে করি, ভবিষ্যতে টেস্ট ক্রিকেটে অভাব আমাদের শত্রু নয়, বন্ধু। আমার এই কথার অর্থ হলো, আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেটে সবারই টেস্ট ক্রিকেট খেলার আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত এবং এটা ঠিক হতে পারে।’
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের এই কর্তা আরও মনে করেন, দুর্বল দেশগুলোকে টেস্ট খেলতে বাধ্য করে তাদেরকে দেউলিয়া করার চেষ্টা করা উচিত নয়। অর্থপূর্ণ প্রতিযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করব, যেখানে টেস্ট ক্রিকেটের মানে আছে। এজন্যই অ্যাশেজ এত বিশাল এবং লাভজনক হবে। কারণ, সেখানে টেস্ট ক্রিকেট গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছেই বিশেষ ব্যাপার।’
তিনি আরও বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট খেলার সময় আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটি আমাদের প্রাধান্য তালিকার সবার ওপরে।’ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সম্প্রতি টেস্ট ফর্ম্যাট পরীক্ষা করার জন্য একটি ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করেছে। দ্বি-স্তরীয় ব্যবস্থাসহ নতুন মডেলগুলো বিবেচনা করার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন গ্রিনবার্গ।