হতাশ করল আবাহনী
অনেকদিন ঢাকা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্বাগতিক আবাহনী। এই ভেন্যু আবাহনীর জন্য বরাবরই ‘পয়া’। তাই আশাও ছিল অনেক। কিন্তু হতাশ করেছে ঢাকার জায়ান্টরা। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের প্লে অফে আবাহনী হোম ম্যাচে পরাজিত হয়েছে। কাগজে-কলমে কিরগিজ ক্লাব মুরাস ইউনাইটেড এগিয়ে ছিল। মাঠেও সেটা প্রমাণ হয়েছে। ২-০ গোলে জিতে মুরাস মূল পর্বে খেলবে।
কিরগিজ ক্লাবের ফুটবলাররা দীর্ঘদেহী। তারা বক্সে ক্রস করে আক্রমণে পটু। প্রথমার্ধে আবাহনী তাদের ভালো মতোই রুখেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের তিন মিনিটে ক্রস থেকেই গোল হজম করে মারুফুল হকের দল। বিষয়টি নিয়ে ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোচ ব্যাখ্যা দিলেন, 'প্রথমার্ধে পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে। আল আমিন প্রথমার্ধে এক্সটা এফোর্ট দিয়েছিল। এজন্য দ্বিতীয়ার্ধে ক্লান্ত ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ক্রসেই গোল কনসিড হয়েছে।’
গোল হওয়ার পর আবাহনীর উপর চড়াও হয় মুরাস। আবাহনী সমতা আনার সুযোগ পেয়েও পারেনি। পরবর্তীতে একাধিক খেলোয়াড় পরিবর্তন করলেও খেলার ধারায় খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি।
কিরগিজস্তান জাতীয় দলের সঙ্গে বাংলাদেশ জাতীয় দল হেরেছে একাধিকবার। ক্লাব পর্যায়েও জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের ক্লাবের। আজকের ম্যাচের ফলের পরও আবাহনীর কোচ অকপটে স্বীকার করেছেন, ‘তারা আমাদের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে। তাদের কোয়ালিটিফুল খেলোয়াড়ও বেশি।’
মুরাস ইউনাইটেডে ইউক্রেনের একাধিক ফুটবলার খেলেছেন। সেখানে আবাহনীর একমাত্র বিদেশি সুলেমান দিয়াবাতে। দুই দিনের অনুশীলনে তিনি আজ এএফসি’র ম্যাচ খেলতে নেমেছেন। দিয়াবাতের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট মারুফ, ‘সে ভালোই খেলেছে। মোহামেডানে গত সিজনে যেমন খেলেছিল সেই তুলনায় আজ প্রথম ম্যাচেই দারুণ পারফরম্যান্স করেছে।' মুরাসের কোচ সার্গেইও দিয়াবাতের প্রশংসা করে বলেন, ‘সে ভালো মানের স্ট্রাইকার। বল থামানো, শুটিং সব কিছুতেই দক্ষতা রয়েছে।’