জ্বালানি তেল চুরির মচ্ছব

লুৎফর রহমান কাকন
১২ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
জ্বালানি তেল চুরির মচ্ছব

রাষ্ট্রীয় জ্বালানি তেল বিপণন সংস্থা পদ্মা ও মেঘনার শুধু গোদনাইলে অবস্থিত দুটি ডিপো থেকে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার তেল চুরি হয়। এক বছরে এই চুরির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় শত কোটি টাকা। এভাবে সারা দেশে অবস্থিত ২৯টি তেলের ডিপো থেকে বছরে চুরি হয় হাজার টাকার তেল। সরকারের এই ডিপোগুলো থেকে বছরের পর বছর ধরে এই তেল চুরির মচ্ছব চলছে। একটি সংঘবদ্ধ দল এই তেল চুরিতে জড়িত। তারা শুধু তেল চুরিতেই সীমাবদ্ধ থাকে না, অকটেনের সঙ্গে পেট্রল এবং ডিজেলের সঙ্গে সালফার ও সিসা মিশিয়ে অতিরিক্ত অর্থও হাতিয়ে নেয়। সম্প্রতি সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এই তথ্য ওঠে এসেছে।

জ্বালানি বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বশীল কর্মকর্তা থাকার পরও বছরের পর বছর তেল চুরির এমন ঘটনা হতবাক হয়ে যাওয়ার মতো। তিনি বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত বলেই এমন চুরি হচ্ছে। জড়িতদের শাস্তি হওয়া উচিত। পেট্রোবাংলায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এ প্রতিবেদনটির কথা উল্লেখ করে বলেন, দিনের পর দিন এভাবে তেল চুরি হতে পারে না। এগুলো দেখার কথা যাদের, তারা কেন দেখল না সেই বিষয় খুঁজে বের করব।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইলে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুটি জ্বালানি তেলের ডিপো অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা তেল বিপণন কোম্পানির এ দুটি ডিপো থেকে তেল চুরির সংঘবদ্ধ চক্র যুগ যুগ ধরে তেল চুরি করে যাচ্ছে। সম্প্রতি সরকারের গোয়েন্দা প্রতিবেদনে কারা কীভাবে এই তেল চুরি করছে, তার বিস্তারিত উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গোদনাইল এলাকার পদ্মা ও মেঘনা ডিপো থেকে রাজধানী ঢাকাসহ ঢাকা বিভাগের আওতাধীন জেলায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করে। তবে ডিপো দুটিতে শক্তিশালী সিন্ডিকেট বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তেল চুরি ও তেলে ভেজাল মেশানোর মাধ্যমে প্রতি বছর সরকারের প্রায় হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। এর ফলে একদিকে যেমন সরকারের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে, অন্যদিকে ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নানা উপায়ে জ্বালানি তেল চুরির পদ্ধতি বের করেছে সংঘবদ্ধ চক্র।

যেভাবে চুরি করা হয় তেল : গোদনাইলের পদ্মা ও মেঘনা ডিপোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা ডিজেল-পেট্রল-অকটেন প্রতারণার মাধ্যমে তেল চুরি করে। অর্থাৎ, নির্ধারিত ফিলিং স্টেশন ডিজেল-পেট্রল ক্রয়ের জন্য পে-অর্ডার করলে দুটি ডিপো থেকে নির্ধারিত আইটেমের তেলের পরিবর্তে শুধু বেশি দামের অকটেন লোড করে দেয়। পরে সিস্টেম লস ও তেলের সম্প্রসারণ নীতির অব্যবহার এবং ভেজাল মিশানো ও অন্যান্য কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন ধরনের তেলের উদ্বৃত্ত ও ঘাটতির হিসাব ঠিকমতো দেখানো হয়। এভাবে তেল চুরির সিন্ডিকেটের সদস্যরা অকটেনের উচ্চ মূল্যের সুবিধা নিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করছে। চুরির তেল ফিলিং স্টেশনের মালিকদের কাছে বাজারমূল্য থেকে প্রতি লিটার কিছু কমে বিক্রি করা হয়। বিভিন্ন ফিলিং স্টেশনে উভয় ডিপো থেকে অকটেনের সঙ্গে পেট্রল এবং ডিজেলের সঙ্গে সালফার ও সিসা নির্দিষ্ট মাত্রায় মিশিয়ে সরবরাহ করা হয়।

বিমানের তেল চুরি : গোদনাইলের পদ্মা ডিপো থেকে কেবল বিমানের জেট ফুয়েল সংরক্ষণ ও বিতরণ করা হয়। ডিপো হতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেট ফুয়েল সরবরাহকারী ট্যাংকলরির মোট সংখ্যা ১২৯টি। প্রতিটি ট্যাংকলরি প্রতিদিন দুই বার (ডাবল ট্রিপ) তেল সরবরাহ করে। প্রতি ট্রিপে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে ২০ লিটার করে তেল কম সরবরাহ করা হয়।

এভাবে সারাদিনে প্রায় ৫ হাজার ২০০ লিটার জমা হয়। দিনশেষে জমাকৃত এ তেল কৌশলে ডিপো থেকে বের করে ভেজাল মিশিয়ে নির্দিষ্ট পাম্পে বিক্রি করা হয়। ১২৯টি ট্যাংকলরির মধ্যে অন্তত ১৭ থেকে ১৮টি নিদিষ্ট ট্যাংকলরি চুরির কাজে ব্যবহৃত হয় বলে গোয়েন্দা সংস্থা প্রমাণ পেয়েছে। এর মধ্যে প্রতিদিন অন্তত দুটি ট্যাংকলরির রোস্টারিংয়ের মাধ্যমে তেল পাচার হয়। ট্যাংকলরি দুটি ডিপোর গেট থেকে বের হওয়ার সময় প্রদর্শিত চালানে পে-অর্ডারে উল্লিখিত মাত্রা দেখালেও প্রকৃতপক্ষে ট্যাংকলরির ভেতরের ভিন্ন চেম্বারে করে চোরাই তেল বের করে। পাচারের দিন ট্যাংকলরি দুটির নিয়মিত ট্রিপ থাকে না।

যেসব ট্যাংকারে তেল চুরি হয় : পদ্মা ডিপো থেকে ভেজাল তেল পরিবহনে যেসব ট্যায়কলরি ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর একটি হলো পিরোজপুর ঢ-১৬-১৪৮০। এটির ধারণ ক্ষমতা ২২ হাজার লিটার। এ ট্যাংকারে ২২ হাজার লিটার তেল দিয়ে ১৮ হাজারের চালান দেওয়া হয়। এ ছাড়া ঢাকা মেট্রো ঢ-১৪-২৫৩১, ঢাকা মেট্রো ঢ-৪১-০৬৯১, পিরোজপুর ঢ-৪৪-০৫০৩, পিরোজপুর ঢ-৪৪-০৫১৪, ঢাকা মেট্রো ৮-৪১-০০৭৮, পিরোজপুর ঢ-৪১-০১৪১, ঢাকা মেট্রো ঢ-৪৪-০১৯৫, পিরোজপুর ঢ-৪১-০০১৪। এই ট্যাংকারগুলো মধ্যে চারটি সাড়ে ১৩ হাজার ও চারটি ৯ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার। বলা হয়েছে ডিপো থেকে সাড়ে ১৬ হাজার লিটার লোড করা হলেও ৯ হাজার লিটারের চালান দেওয়া হয়। এ ছাড়া মেঘনা ডিপো থেকে যেসব ট্যাংকারে তেল চুরির সঙ্গে জড়িত, সেগুলোর একটি হলো ঢাকা মেট্রো ঢ-৪১-০৩১৫, ঢাকা মেট্রো ঢ-৬২-০১০২, ঢাকা মেট্রো ঢ-৪১-০১০৫, নারায়ণগঞ্জ ঢ-১১-০০০১।

যেসব ফিলিং স্টেশন, ট্যাংকারের চালক জড়িত : এই ডিপো দুটি থেকে চোরাই ও ভেজাল তেল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এমন কিছু ফিলিং স্টেশনের তথ্যও প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে। সেগুলো হলো- রাজধানীর মাতুয়াইলে সান্টু ফিলিং স্টেশন, মতিঝিলের রহমান ফিলিং স্টেশন, খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ মডেল সার্ভিস সেন্টার, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন ডিএল ফিলিং স্টেশন, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের টিএম মাস্টারবাড়ী ফিলিং স্টেশন, নারায়ণগঞ্জের সানারপাড় এলাকার স্যামস ফিলিং স্টেশন ও রূপগঞ্জের পূর্বাচল মডেল ফিলিং স্টেশন।

বিমানের তেল চুরির কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ট্যাংকলরির তালিকা এবং চালকদের নাম তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে। তাদের মধ্যে রয়েছেন- চালক সুমনের নারায়ণগঞ্জ ঢ-০১-০০০৪, গুলজারের-পাবনা ঢ-০৪-০০২৪, চালক সেলিমের ঝালকাঠি ঢ-৪১-০০৪৩, জসিমের নারায়ণগঞ্জ ঢ-০১-০০৩৯, মামুনের পাবনা ঢ-০৮-০০২৯, নারায়ণগঞ্জ ট-০২-০২১৮, তারামিয়ার যশোর ঢ-৪১-০০৪৬, টিপু ড্রাইভারের কুড়িগ্রাম ঢ-০৮-০০০২, মামুনের রংপুর ঢ-৪১-০০০৫, শাহিন ড্রাইভারের চট্টগ্রাম মেট্রো ঢ-৪১-০০৩১, জসিম ড্রাইভারের ঢাকা মেট্রো ট-৪৪-০০২৪, দেলু ড্রাইভারের পাবনা ঢ-০৪-০০০১, তাজু ড্রাইভারের পিরোজপুর ঢ-৪১-০০১২ ও দুলু ড্রাইভারের নারায়ণগঞ্জ ঢ-০১-০০৪৩।

জানা যায়, মেঘনা ডিপোতে প্রতিদিন ট্যাংকলরিতে তেল লোড করার সময় ট্যাংকারের পাইপ খুলে দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত লোকজন কিছু তেল বালতি-ড্রামে করে চুরি করে। উক্ত তেল স্থানীয়ভাবে গোপন জায়গায় রিজার্ভপূর্বক প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিক্রি করে সিন্ডিকেট সদস্যরা। পরে এর অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়া হয়।

সিস্টেম লসের অজুহাত : সিস্টেম লসের আন্তর্জাতিক মাপকাঠির অজুহাতেও চুরি করা হয়। সিস্টেম লসের আন্তর্জাতিক মাপকাঠি শতকরা ০.৩০-০.৫০ অনুসরণ করা হলেও সরবরাহ করা তেলের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সিস্টেম লসের পরিমাণও বেশি হয়। এ অজুহাত দেখিয়েও মেঘনা ডিপো থেকেই প্রতিদিনি গড়ে সাড়ে ১৩ লাখ লিটার তেল বিক্রি হয়। সিস্টেম লসের হিসাবে ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার ৭৫০ লিটার পর্যন্ত হয়। পদ্মা ডিপোতে প্রতিদিন গড়ে ২৫ দশমিক ৬০ লাখ লিটার তেল বিক্রি হয়।

আর্থিক ক্ষতি : প্রতিবেদনে আর্থিক ক্ষতির চিত্র তুলে ধরে বলা হয়- শুধু পদ্মার গোদনাইল ডিপোতে অনিয়মের কারণে প্রতিদিন ১৩ হাজার ৫০০ লিটার তেল চুরি হয়, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ১৭ লাখ টাকা। মাসিক হিসাবে তেল চুরি ২ লাখ ৯৭ হাজার লিটার, যার আর্থিক মূল্য ৪ কোটি টাকা।

পদ্মার গোদনাইল ডিপোতে (অকটেন) বিক্রিতে বিগত ১৫ বছরে ২০১০ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রায় ৬০০ কোটি টাকার তেল চুরি হয়েছে। অকটেনের দামের তারতম্যের কারণে ২০১০ সালে এক বছরেই ক্ষতি হয় প্রায় ২৮ কোটি টাকা। ২০২৫ সালে এসে এ পরিমাণ ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকা।

অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কারা : অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের নাম এসেছে প্রতিবেদনে। পদ্মা ডিপোতে জড়িতদের মধ্যে রয়েছেন সিবিএর সহ-সভাপতি ফারুক, ডিপো ইনচার্জ (অপারেশন) পিয়ার আহমেদ, পয়েন্ট ইনচার্জ আল আমিন। মেঘনা ডিপোতে রয়েছেন ডিপো ইনচার্জ (অপারেশন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, সহকারী ইনচার্জ (অপারেশন) করুণ কান্তি হাওলাদার, দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত মিটার রিডারদের মধ্যে আল আমিন, মানিক ও কামাল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়- উভয় ডিপোর চুরি করা তেলের মূল ক্রেতা রাজীব। তিনি চোরাই ও ভেজাল তেল স্থানীয়ভাবে গোপন জায়গায় সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত পাম্পে বিতরণের ব্যবস্থা করেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়- সারাদেশে পদ্মার চারটি, মেঘনার ৯টি, যমুনার ১৬টিসহ সর্বমোট ২৯টি তেলের ডিপো রয়েছে। শুধুমাত্র পদ্মা ও মেঘনার গোদনাইল ডিপো থেকে প্রতিদিন ৩০-৩৫ লাখ টাকার তেল চুরি হয়, যার মাসিক মূল্য দাঁড়ায় ৭ কোটি টাকার বেশি। বছরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় শত কোটি টাকা। যদি দেশের অন্যান্য তেল ডিপোগুলোয়ও একই হারে চুরি হয়, তাহলে প্রতি বছর হাজার কোটি টাকার তেল চুরি হয়ে থাকে। ডিপোর অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী বিএসটিআইর কর্মকর্তা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এর সাথে জড়িত রয়েছেন বলা হয়েছে।

পদায়ন বাণিজ্য : প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা দুর্নীতির মাধ্যমে অপারেশনাল ও টেকনিক্যালি লোক ছাড়া নন-টেকনিক্যালদের ডিপোতে নিয়োগ দেওয়া এবং একই লোককে বছরের পর বছর পোস্টিং দিয়ে রাখার কারণে অনিয়ম বেশি হয়।

খতিয়ে দেখা হয় না : ডিপো থেকে তেল বের করার সময় তেলের কোন আইটেম, কী পরিমাণে ঠিকভাবে খতিয়ে দেখা হয় না। পদ্মা ডিপোতে দিনের শেষ অল্প পরিমাণে তেলের পে-অর্ডার নিয়ে পূর্বনির্ধারিত দুটি ট্যাংকলরি, যার ধারণ ক্ষমতা যথাক্রমে সাড়ে ১৩ হাজার লিটার ও ৯ হাজার লিটার। সারাদিনের সিস্টেম লস ও তেল পরিমাপের হিসাব করে দুটি ট্যাংকলরিতে ভাগ করে লোড করে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সরাসরি মিটারম্যানরা জড়িত। উভয় ডিপোর চুরি করা তেল রাজিবসহ সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যদের আওতাধীন সুবিধাজনক স্থানে রাখা হয়। পরবর্তী সময়ে গভীর রাতে পূর্বনির্ধারিত পেট্রোল পাম্পে দিয়ে আসা হয়।

ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ : প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশে বলা হয়েছে- দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি বিগত ১৫ বছরের ডিপো ম্যানেজারসহ জড়িতদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির অনুসন্ধানপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। ডিপোর ইনচার্জ পদায়ন বাণিজ্য বন্ধে কঠোর উদ্যোগ গ্রহণ। কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন ধরে একই ডিপোর ইনচার্জ হিসেবে না রাখা। তেল পরিমাপের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার। তেলবাহী ট্যাংকলরি ডিপো ত্যাগের আগে চালান-ইনভয়েস স্ক্যানপূর্বক বহির্গমন নিশ্চিত করা যেতে পারে। যেহেতু সিস্টেম লসের অজুহাতে কর্মকর্তাদের যোগসাজশে প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ঘটে থাকে, সেহেতু যে কেনো মূল্যে সিস্টেম লস কমিয়ে আনার কঠোর সুপারিশ করা। চোরাই করা তেল ক্রয়-বিক্রয়ে জড়িত পেট্রল পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।