ব্যাটে ৯৫, বল হাতে ৫ উইকেট /

রিজানের বীরত্বে শিরোপা বাংলাদেশের

স্পোর্টস ডেস্ক
১০ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৮
শেয়ার :
রিজানের বীরত্বে শিরোপা বাংলাদেশের

জিম্বাবুয়েতে স্বাগতিক দল ও দক্ষিণ আফ্রিকা-বাংলাদেশকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতল বাংলাদেশ। আজ রবিবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩ রানে হারিয়েছে আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন দল। ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি ছোঁয়া ইনিংসের পর ব্যাট হাতে ৩৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ফাইনালের নায়ক রিজান হোসেন। 

হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৮ বল বাকি থাকতেই ২৩৬ রানে অলআউট হয় প্রোটিয়ারা। 

বাংলাদেশের দেওয়া ২৭০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনিং জুটিতে ৮ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই ওঠে ৫৯ রান। তবে পাওয়ার প্লের ১০ ওভারের মধ্যে জোরিখ ফন স্কাইলউইক (২২ বলে ১৯) ও আদনান লাগাদিয়েনকে (৩১ বলে ৪০) ফিরিয়ে ম্যাচের লাগাম টানে বাংলাদেশ। তিন ও চার নম্বরে নামা মুহাম্মদ বুলবুলিয়া (৪৩ বলে ৩১) ও জেসন রোয়েলসও (৫৩ বলে ৩৫) বাংলাদেশের বোলারদের পরীক্ষা নেন। 

তবে মাঝের ওভারগুলোতে রিজান হোসেন-আল ফাহাদদের বোলিং দাপটে দিশেহারা হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষদিকে বানডিল বাথার ২৯ ও টানডো সোনির ৩৪ রানে কেবল ব্যবধানই কমে। 

৮ ওভার ৪ বলে ১ মেডেনসহ মাত্র ৩৪ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট নেন রিজান। ৯ ওভারে ৩ উইকেট নিলেও ৫০ রান খরচ করেন আল ফাহাদ। ১০ ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নিয়ে উজ্জ্বল স্বাধীন ইসলামও।

হারারেতে আজ বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীরগতির। ৬৫ রান তুলতে টাইগার যুবারা হারায় রিফাত বেগ (১৬), জাওয়াদ আবরার (২১) ও অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমকে (৭)। ততক্ষণে ১৮ ওভার পার হয়ে গেছে। তবে চতুর্থ ইনিংসে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান হোসেন। 

১৩৩ বলে ১১৭ রান যোগ করেন কালাম ও রিজান। দলীয় ১৮২ রানে কালাম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। ৭৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। তবে রিজান ছিলেন অবিচল। উইকেটে টিকে থাকার পাশাপাশি রানের চাকাও সচল রাখেন এই ব্যাটার, সঙ্গ দেন উইকেটকিপার ব্যাটার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। 

পঞ্চম উইকেটে মাত্র ৪৩ বলে ৬৩ রান যোগ করেন রিজান ও আব্দুল্লাহ। ৪৮তম ওভারের তৃতীয় বলে সেঞ্চুরির দেড়গোড়া থেকে ফেরেন রিজান। দলীয় ২৪৫ রানে ৯৬ বলে ব্যক্তিগত ৯৫ রান করে আউট হন তিনি। ১০টি চারের সাহায্যে তিনি সাজান নিজের ইনিংস। আব্দুল্লাহ ২৯ বলে ৫টি চারে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। আর টুর্নামেন্টে হার্ডহিটার হিসেবে নিজেকে প্রমাণ দেওয়া সামিউন বশির ৮ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।