রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের আদেশ আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
০৭ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০
শেয়ার :
রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে রিভিউয়ের আদেশ আজ

রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স) নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের আদেশ দেওয়া হবে আজ বৃহস্পতিবার। গতকাল বুধবার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ একদিন পিছিয়ে এই দিন ধার্য করেন। এর আগে রিভিউ আবেদনের ওপর গত ৩০ জুলাই শুনানি শেষে আপিল বিভাগ আদেশের জন্য ৬ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছিলেন।

আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন এবং রিট আবেদনকারীর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও নিহাদ কবির উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া ব্যাখ্যাকারী হিসেবে শুনানিতে অংশ নেওয়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. রুহুল কুদ্দুস উপস্থিত ছিলেন। এ মামলায় আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।

১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে একটি রিট দায়ের করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ১৪ ডিসেম্বর জেলা জজদের পদমর্যাদা সচিবদের নিচে দেখানো কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট।

রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দেওয়া রায়ে ৮টি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল নিষ্পত্তি করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ এ রায় দেন। ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর এর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ হয়। রায়ে জেলা জজদের ষোলো ক্রমে সচিবদের সমমর্যাদা এবং সতেরো ক্রমে অতিরিক্ত জেলা জজদের রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। বাকি আটটি পদে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণ মোতাবেক সরকার পদক্রম পরিবর্তন করবেন বলে আপিল বিভাগ আশা প্রকাশ করেন।

আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পিএসসির তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন।