যে কারণে ক্রিকেটাররা ব্যর্থ হন
কোনো ক্রিকেটারই সবসময় ফর্মে থাকেন না। তাকে কখনো কখনো খারাপ সময় পার করতে হয়। অফফর্মের কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়াটাও একজন ক্রিকেটারের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার। তাকে আবার জাতীয় দলে ফিরতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করতে হবে- এটাই মানদণ্ড। তবে অনেক সময় দেখা যায় ঘরোয়া ক্রিকেটে খুব ভালো করার পর জাতীয় দলে ফিরে তিনি নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে এর সর্বশেষ উদাহরণ এনামুল হক বিজয়। ২০২৫ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে টুর্নামেন্টে সর্বাধিক ১৪ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরিতে ৮৭৪ রান করেছিলেন। এর পুরস্কার হিসেবে ফের জাতীয় দলে তাকে সুযোগ দেন নির্বাচকরা।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে রানের বন্যা বইয়ে দিলেও ৩২ বছর বয়সী বিজয় জাতীয় দলে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি।
২০২২ সালের পর ২০২৫ সালের এপ্রিলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে ফেরার পর তিনি ওপেনিংয়ে নেমে ৩৯ রান করেন। এর পর শ্রীলংকা সফরের গল ও কলম্বো টেস্টে তার ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে- ০, ৪, ০, ১৯। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স করলেও জাতীয় দলে এসে কেন ব্যর্থ হন ক্রিকেটাররা?
কোচ সোহেল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় যখন ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেতে চায় তখন তার গড় ভালো হওয়া প্রয়োজন। তাকে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করতে হয়। তবে আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত... আমরা সাধারণত এক-দুটি ম্যাচ দেখেই খেলোয়াড়দের সাফল্য বিচার করি। খেয়াল করে দেখবেন আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা কম। আমাদের যখন ধারাবাহিকতা বাড়বে এবং ঘরোয়াতে যদি প্রতিযোগিতা বাড়ে তখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও তারা ভালো করবে।’