আফ্রিদি-হাফিজদের খেলায় নিষেধাজ্ঞার কারণ জানাল পিসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক
০৩ আগস্ট ২০২৫, ১৭:২৬
শেয়ার :
আফ্রিদি-হাফিজদের খেলায় নিষেধাজ্ঞার কারণ জানাল পিসিবি

ইংল্যান্ডে সাবেক ক্রিকেটারদের টুর্নামেন্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লেজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) শেষ হয়েছে আজ। যেখানে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস। যদিও বৈশ্বিক এমন টুর্নামেন্টে রানার্স আপ হওয়াও কম গৌরবের নয়, তারপরও ভবিষ্যতে এমন টুর্নামেন্টে খেলতে শহিদ আফ্রিদি, কামরান আকমল, মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিকদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। 

টুর্নামেন্টে ভারত চ্যাম্পিয়নস ও পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের মধ্যে বেশ নাটক দেখে ক্রিকেটবিশ্ব। রাজনৈতিক বৈরিতার জের ধরে এবারের আসরের প্রাথমিক পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি বর্জন করে ভারত। পরে সেমিফাইনালেও পাকিস্তানকেই সামনে পায় তারা। সেখানেও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় যুবরাজ সিংয়ের নেতৃত্বাধীন ‘ভারত লেজেন্ডস’। পরে ম্যাচ না খেলেই ফাইনালে জায়গা করে নেয় পাকিস্তান। 

পিসিবি নানা অভিযোগ তুলে সামনের আসরগুলোতে পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড়দের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছে। প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে ভারত খেলতে অস্বীকার করায় পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু আয়োজকরা পয়েন্ট ভাগাভাগি করে। বিষয়টি পছন্দ হয়নি পিসিবির। এই সিদ্ধান্তকে 'ভণ্ডামি ও পক্ষপাতিত্ব’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। টুর্নামেন্টকে কলঙ্কিত করা হয়েছে বলেও মনে করা তারা। 

বিবৃতিতে পিসিবি জানায়, ‘ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত কোনো ক্রিকেটীয় কারণে হয়নি, বরং সুনির্দিষ্ট জাতীয়তাবাদী ধারণাকে তুষ্ট করে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের ক্রিকেটারদেরকে আমরা এমন আসরে অংশ নিতে দিতে পারি না, যেখানে খেলাধুলার চেতনাকে ছাপিয়ে যায় বিকৃত রাজনীতি, স্পোর্টসম্যানশিপ ও ভদ্রলোকের খেলার ধারণাটিকেই যা খাটো করে তোলে।’

এদিকে, ডব্লিউসিএলের হর্ষিত টোমার একজন ভারতীয় সাংবাদিকের সাথে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল এবং হারানোর ব্যাপারে প্রত্যয় দেখিয়েছিল। 

তিনি বলেন, ‘আমি নাম নেব না, কিন্তু কিছু খেলোয়াড় বলেছে, ‘‘ভাই... আমরা তাদের (পাকিস্তান) হারাতে চেয়েছিলাম। আমরা তাদের একটি জোরাল জবাব দিতে চেয়েছিলাম।’’ এমনকি কয়েকজন এই জয় জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গও করতে চেয়েছিলেন।’

টোমার আরও বলেন, ‘একজন খেলোয়াড়ের দেশপ্রেম প্রকাশের উপায় হলো মাঠে পারফর্ম্যান্সের মাধ্যমে। তবে কিছু খেলোয়াড় জনগণের অনুভূতিকে সম্মান করে ম্যাচটিতে খেলার বিরুদ্ধে ছিলেন —সেই আবেগ বৈধ এবং সেটিকে সম্মান করা উচিত।’