ফাইনালে সেঞ্চুরি করে দ. আফ্রিকাকে চ্যাম্পিয়ন করলেন ডি ভিলিয়ার্স
৪১ বছর বয়সেও কী দারুণ ফর্মেই না আছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লুসিএল)-এ তার ব্যাটিং দেখে অনেকেই ভাবছেন, দক্ষিণ আফ্রিকাকে আরও অনেক কিছু দেওয়ার ক্ষমতা হয়তো তার ছিল এখনো।
এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সের বিপক্ষে ডি ভিলিয়ার্স খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৬০ বলে অপরাজিত ১২০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। মাত্র ৪৭ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি, ইনিংসে মারেন ১২টি চার ও ৭টি ছক্কা।
এর আগে টুর্নামেন্টে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ঝোড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। তার ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করেই দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে।
ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ২০ ওভারে তোলে ১৯৫ রান, ৫ উইকেট হারিয়ে। শারজিল খান করেন ৪৪ বলে ৭৬ রান। তার সঙ্গে উমর আমিন (৩৬), আসিফ আলী (২৮) ও শোয়েব মালিক (২০) কিছুটা রান যোগ করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস হাশিম আমলার উইকেট হারালেও বাকি কাজ সহজ করে দেন ডি ভিলিয়ার্স ও জেপি ডুমিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ১২৫ রানের জুটি গড়ে মাত্র ১৮.৫ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন তারা। ইনিংসের মাঝপথে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেলেও খেলা চালিয়ে যান ‘৩৬০ ডিগ্রি’ খ্যাত ডি ভিলিয়ার্স।
ফাইনালে অসাধারণ পারফরম্যান্সের সুবাদে ‘প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল’, ‘মাস্টার ব্লাস্টার অব দ্য ম্যাচ’, ‘মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার’ এবং ‘গেম চেঞ্জার অব দ্য ম্যাচ’—এই চারটি পুরস্কার জিতেছেন তিনি। একমাত্র ব্যক্তিগত পুরস্কার যেটি অন্য কেউ পেয়েছেন, সেটি হলো পাকিস্তানের শারজিল খানের ‘ফ্যান ফ্যাবারিট লিজেন্ড’ খেতাব।
ডি ভিলিয়ার্স হয়েছেন পুরো টুর্নামেন্টেরও সেরা খেলোয়াড়—৪৩১ রান ও তিনটি সেঞ্চুরি করে ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’-এর পুরস্কার উঠেছে তার হাতে।
শিরোপা জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়নস পেয়েছে ২ লাখ মার্কিন ডলার, আর রানার্সআপ পাকিস্তান পেয়েছে ১ লাখ মার্কিন ডলার পুরস্কার।