একটা চাকরি প্রয়োজন পা হারানো দিলদারের
জুলাই আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হন মোহাম্মদ দিলদার। এরপর দীর্ঘ সময় কেটেছে হাসপাতালে। শেষে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কেটে ফেলতে হয় ডান পা। কৃত্রিম পা দিয়ে চলাফেরা করতে পারলেও বেশিক্ষণ হাঁটতে পারেন না। প্রায়ই যন্ত্রণায় কাতরান। তবু তার চোখে নেই কান্না, নেই হাহাকার। আছে শুধু একটা চাওয়া- বসে করার উপযোগী একটা চাকরি, যাতে তিনি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারেন।
দিলদার পেশায় একজন স্যানিটারি মিস্ত্রি। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মৌলভীপাড়ার আবদুল জলিলের বাড়ির পঙ্গু মো. তৈয়বের ছেলে। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। দিলদারের পরিবার বলতে এক বৃদ্ধা মা ও পঙ্গু বাবাকে নিয়ে। পা হারানোর পর এখন আর স্যানিটারির কাজ করতে পারেন না। ফলে টেনেটুনে চলছে তাদের সংসার ।
দিলদার বলেন, সরকারের নিকট শুধু চাওয়া, একটা সুযোগ, যেখানে আমি নিজের উপার্জনে বাঁচতে পারি। আমার তো হাত দুটো ঠিক আছে, আমি চাইলে বসে অনেক কিছুই করতে পারি। আমার মনোবল আছে, আমি সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে চাই।
আরও পড়ুন:
আকতার পারভেজ সর্বোচ্চ ভোটে সিএসই পরিচালক
গত ৫ আগস্ট শেষ হাসিনা সরকারের পতনে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের হাটহাজারীতেও বিজয়-উল্লাস করতে রাস্তায় নামে হাজার হাজার মানুষ। সেই আনন্দ মিছিল শেষে হাটহাজারী পৌরসভার কাচারি সড়ক ধরে রঙ্গিপাড়া রোডে ঢোকার আগেই আচমকা ডান পায়ের উরুতে গুলিবিদ্ধ হন দিলদার। প্রাণ বাঁচাতে তার ডান পা কেটে ফেলে চিকৎসকরা। এখন কৃত্রিম পা দিয়ে চলাফেরার চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছুটা হাঁটলেই তীব্র যন্ত্রণা হয়। এখন তার পক্ষে স্যানিটারি মিস্ত্রির কাজ সম্ভব নয়। আয়ের পথ বন্ধ থাকায় এখন দিন কাটে অনিশ্চয়তায়।
দিলদারের মা রোকেয়া বেগম বলেন, দিলদার আমাদের একমাত্র ছেলে। তার আয়ে সংসার চলত। গুলিতে পা হারানোর পর থেকে সে ঘরবন্দি। কৃত্রিম
আরও পড়ুন:
বৃহত্তম হিমশৈল
পায়ে হাটাচলার চেষ্টা করে। ওর কষ্ট আমি সহ্য করতে পারি না। রাষ্ট্রের প্রতি একটাই চাওয়াম দিলদারের একটি চাকরি, যাতে পরিশ্রম করে জীবিকা নির্বাহ করতে পারেন।
আরও পড়ুন:
কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম