দ. আফ্রিকার বিপক্ষে ১ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয় পেল বাংলাদেশ
৫০ ওভারের ক্রিকেট ওয়ানডেতে ১২৯ রানের লক্ষ্য খুবই মামুলি ব্যাপার। তবে সেটি পার করতে গিয়েই নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে এই রান তুলতে গিয়ে এক পর্যায়ে ৯৭ রানেই হারিয়ে বসে ৮ উইকেট। তবে রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সাত নম্বরে নামা সামিউন বশির। তার বীরত্বেই ১ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশের যুবারা।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যুব ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। এরপর জিম্বাবুয়েকে সঙ্গে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলছে দুই দল। সেখানে প্রথম ম্যাচ জিতে এগিয়ে গেল আজিজুল হাকিম তামিমের দল।
১২৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো শুরু এনে দিয়েছিলেন জাওয়াদ আবরার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ৯ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২০ রান করে আউট হন তিনি। দলীয় ২১ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর শুরু হয় ধস। ৫৯ রানের মধ্যেই হারিয়ে বসে প্রথম ৬ উইকেট। জাওয়াদ আর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২৪ বলে ১৪) ছাড়া প্রথম ছয় ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি। একের পর এক ব্যর্থ হন রিফাত বেগ, আজিজুল, রিজান হোসেন ও ফরিদ হাসান।
সাত নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ইতিবাচক ছিলেন সামিউন। যদিও আরেক পাশে দেখছিলেন একের পর এক ব্যাটারের পতন। সপ্তম উইকেটে আল ফাহাদকে নিয়ে গড়েন ৩১ রানের জুটি। তাতে কিছুটা আশা দেখে বাংলাদেশ। ৯০ রানের মাথায় ফাহাদও (২৬ বলে ১১) বিদায় নেন। দলীয় ৯৭ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে বিদায় নেন দেবাশিষ দেবা। বিপদ বাড়ে বাংলাদেশের।
সেখান থেকে ইকবাল হোসেন ইমনকে নিয়ে ১২ রান যোগ করে আশা বাঁচিয়ে রাখেন সামিউন। ১০৯ রানে ইমন ফিরলে বাংলাদেশের জয়ের আশা অনেকটাই শেষ হয়ে যায়। তবে সামিউন ছিলেন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ২৮তম ওভারে পল জেমসের বলে ২ চারসহ তুলে নেন ৯ রান। আর ২৯তম ওভারে ডেয়ালান বয়েসের করা ওভারে চার-ছক্কায় ১১ রান তুলে নিশ্চিত করেন দলের জয়। ১২৮ বল বাকি থাকলেও ১ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। নায়ক সামিউন ৩৯ বলে ৭টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন।