বেঙ্গালুরু তারকা দয়ালের বিরুদ্ধে এবার অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধর্ষণের অভিযোগ
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর পেসার জশ দয়ালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা হয়েছিল কিছুদিন আগেই। এবার আরও বড় বিপাকে এই তারকা। তার বিরুদ্ধে ১৭ বছরের এক অপ্রাপ্তবয়স্ককে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি, জয়পুরের সাঙ্গানের সদর থানায় দয়ালেরর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে যশ দয়াল ওই নাবালিকাকে পেশাদার ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। গত আইপিএলে রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ম্যাচ ছিল ১৩ এপ্রিল। সেই সময়ে দয়াল নাবালিকাকে একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। একাধিকবার মানসিক ও যৌন হেনস্থার শিকার হয়ে অবশেষে ২৩ জুলাই নির্যাতিতা অভিযোগ দায়ের করেন যশ দয়ালের বিরুদ্ধে।
অভিযোগকারীর বর্তমান বয়স ১৯। তবে দয়াল যখন তাকে ধর্ষণ করেন তখন তার বয়স ছিল ১৭।
এর আগে গত ৮ জুলাই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে ভারতের গাজিয়াবাদে দয়ালের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা এর ৬৯ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে দয়ালকে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারী তরুণী খুব শিগগিরই ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের বয়ান রেকর্ড করবেন এবং তার পরে তার শারীরিক পরীক্ষাও হবে। মামলায় তরুণী ইলেকট্রনিক প্রমাণসামগ্রী—হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট, ভিডিও কলের স্ক্রিনশট ও ছবি—জমা দিয়েছেন। পুলিশ এখন সেগুলো যাচাই করছে।
তরুণীর দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে যশ দয়ালের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। এই সময়ে তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে নিগৃহীত হয়েছেন। এমনকি তার কাছ থেকে অর্থও নিয়েছেন দয়াল। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, দয়াল তাকে পরিবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং একরকম স্বামীর মতো ব্যবহার করতেন। তরুণী দয়ালের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করে সম্পর্ক চালিয়ে গেলেও, পরে বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। প্রতিবাদ করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ে।
সেবার তরুণী অভিযোগ করেন, শুধু তার সঙ্গে নয়—দয়ালের আরও তিনজন নারীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল এবং তাদের সঙ্গেও একই ধরনের ব্যবহার করেছেন এই ক্রিকেটার। অভিযোগকারী বলেন, এই নারীরা পরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে তারা যে যন্ত্র বা ফোন ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর মাধ্যমে দয়াল বিভিন্ন পণ্য কিনেছেন। সেইসব তথ্যও পুলিশের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।