যে মাইলফলকের সামনে রিশাদ
বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদীয়মান লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে। ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেকের পর মাত্র দুই বছরের মাথায় দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বোলারে পরিণত হয়েছেন তিনি। আজ মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামলে রেকর্ড গড়ার সুযোগ রয়েছে তার সামনে।
এরই মধ্যে ৪০ ম্যাচে ৪৮ উইকেট শিকার করেছেন রিশাদ। আজ মাত্র ২ উইকেট পেলেই ৫০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করবেন, যেটি বাংলাদেশের পক্ষে ষষ্ঠ এবং প্রথম লেগ স্পিনার হিসেবে গড়া হবে এই কীর্তি।
আরো চমকপ্রদ তথ্য হলো—রিশাদ যদি আজ উইকেট দুটি নিতে পারেন, তবে ৪১ ম্যাচে ৫০ উইকেট পূর্ণ করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দ্রুততম বোলার হিসেবে এই মাইলফলকে পৌঁছাবেন। পিছনে ফেলবেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকেও, যিনি এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ৪২ ম্যাচে। রেকর্ড তালিকার শীর্ষে রয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান—মাত্র ৩৩ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ৫০ বা ততোধিক উইকেট পাওয়া বোলাররা হলেন: মোস্তাফিজ, সাকিব, তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও শরীফুল ইসলাম। রিশাদ হতে পারেন তাদের মধ্যে নতুন সংযোজন।
তবে সাম্প্রতিক ফর্ম রিশাদের জন্য কিছুটা চিন্তার কারণ। সর্বশেষ তিনটি টি-টোয়েন্টিতে (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি) তিনি নিয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। ফলে আজকের ম্যাচে তাকে বিশ্রাম দেওয়ার বিষয়েও ভাবছে দল। কারণ, এশিয়া কাপ সামনে রেখে দল কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চাইছে।
আজকের ম্যাচে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে, যিনি এখনও শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান সিরিজে একটিও ম্যাচ খেলেননি। এর আগে তানজিদ হাসান ও তাসকিন আহমেদকে বিশ্রাম দিয়েছিল টিম ম্যানেজমেন্ট—সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় সেই নীতি আজও অব্যাহত থাকতে পারে।
অতএব, আজ রিশাদের সামনে রয়েছে দুটি সম্ভাবনা—একদিকে রেকর্ড গড়ার সুবর্ণ সুযোগ, অন্যদিকে বিশ্রামের মাধ্যমে বড় টুর্নামেন্টের আগে সতেজ হয়ে ফেরার কৌশল। সিদ্ধান্ত যেটাই হোক, বাংলাদেশ দলের ভবিষ্যতের অন্যতম নির্ভরযোগ্য বোলার হিসেবে রিশাদের দিকে তাকিয়ে আছে ক্রিকেটপ্রেমীরা।