মেসির পছন্দের গোলের শিল্পকর্ম ২২ কোটি টাকায় বিক্রি

স্পোর্টস ডেস্ক
২৩ জুলাই ২০২৫, ১৯:৪১
শেয়ার :
মেসির পছন্দের গোলের শিল্পকর্ম ২২ কোটি টাকায় বিক্রি

কয়েক মাস আগেই আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি জানিয়েছিলেন তার পছন্দের গোল কোনটি। ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে হেড থেকে দেওয়া গোলটিকেই সবার ওপরে রেখেছেন তিনি। সেই গোলটির শিল্পকর্ম তৈরি করেছেন তুর্কি বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পী রেফিক আনাদোল। 

শিল্পকর্মটির নাম ‘জীবনের এক লক্ষ্য: মেসি X রেফিক আনাদোল’। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে নির্মিত এই শিল্পকর্মটি গতকাল মঙ্গলবার ১.৮৭ মিলিয়ন ডলারে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যদিও শিল্পকর্মটির ক্রেতার পরিচয় প্রকাশ করেনি। তথ্য ক্রীড়া বিষয়ক বিখ্যাত গণমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর। 

শিল্পকর্মটি বিক্রির পুরো অর্থই দেওয়া হবে ইন্টার মায়ামি ফুটবল ক্লাব ফাউন্ডেশনকে। তারা বিভিন্ন দাতব্য কাজে সহায়তা করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, এল সালভাদর, হন্ডুরাস এবং হাইতিতে শিক্ষা কার্যক্রম বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারত্ব।

আনাদোল বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে মেশিন এবং এআই ব্যবহার করে এই অনন্য ডিজিটাল আর্ট প্রজেক্ট তৈরি করেছেন। যেখানে মেসির প্রিয় গোলটি থ্রিডি মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ১৬ বছরের পুরোনো ঘটনাকে দেখা যাবে নতুনভাবে। 

২০০৯ সালে ২২ বছর বয়সী মেসি পেপ গার্দিওলার বার্সেলোনার হয়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে খেলছিলেন। যেই ক্লাবে খেলতেন পরবর্তীতে তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বার্সেলোনা জাভির গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল। রোমের স্টাডিও অলিম্পিকোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ৭০তম মিনিটে দারুণ এক গোল দেন মেসি। 

মাত্র ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি (১.৬৫ মিটার) লম্বা হওয়া সত্ত্বেও, মেসি বলটিকে নিখুঁতভাবে সময়োপযোগী হেডার দিয়ে ইউনাইটেডের গোলবারের কোনা দিয়ে গোল আদায় করেন। তিনি এত উঁচুতে লাফিয়ে উঠেছিলেন যে তার বুট উড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তাতেও যেন কিছু যায় আসে না। হাত প্রসারিত করে অবিশ্বাসের হাসি দিয়ে গোল উদযাপন করেন মেসি।

কেন সেই গোলটি বেছে নিয়েছিলেন এমন ব্যাখ্যায় মেসি বলেছিলেন, ‘একটি গোল বেছে নেওয়া বেশ কঠিন, কারণ অনেক এমন আছে। কিন্তু (ইউনাইটেডের বিপক্ষে) ওই গোলটি আমার প্রিয়। এটি সবচেয়ে সুন্দর এবং অনন্য ছিল, কারণ এটি একটি হেডের গোল ছিল। আমি সত্যিই উঁচুতে লাফিয়ে উঠেছিলাম, যা আমার জন্য বিরল।’